বাংলাদেশের কার্গো জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর জিম্মি নাবিকদেরকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুইজন সোমালিয়ান জলদস্যু। রোববার (১৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
যদিও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মুক্তিপণের বিষয়টি স্বীকার করা হয়নি। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দাবি করে বলেন, বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ও জিম্মি ২৩ নাবিকের মুক্তিতে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়নি।
কিন্তু দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে মুক্তিপণ দিয়ে জিম্মি নাবিকদেরকে ছাড়িয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
জলদস্যুদের একজন আবদিরাশিদ ইউসুফ রয়টার্সকে জানান, দুই রাত আগে আমাদের কাছে মুক্তিপণের অর্থ নিয়ে আসা হয়। প্রথমে আমরা নোটগুলো আসল নাকি নকল সেটি যাচাই করি। এরপর আমরা সরকারি বাহিনীর হাত থেকে রেহাই পেতে মুক্তিপণের অর্থ কয়েকটি দলে ভাগ করে চলে যাই। পরে আমরা জাহাজটিকে সকল নাবিক সমেত মুক্তি দেই।
এ ব্যাপারে সোমালিয়া সরকার কোনো মন্তব্য করেনি।
![](https://cdn.news24bd.tv/public/news_images/photo/shares/2024 All/April/7852745242.jpg)
গত মার্চে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে এমভি আব্দুল্লাহ নামের কার্গো জাহাজটি সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে অপহৃত হয়। সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে।
২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সোমালিয়ার উপকূলে নিয়মিত দস্যুবৃত্তি করে গেছে জলদস্যুরা। কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর গত বছর থেকে আবারও জলদস্যুদের তৎপরতা শুরু হয়েছে।
সমুদ্র বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিয়ার জলদস্যুরা নিরাপত্তায় শিথিলতা এবং ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথির সৃষ্ট অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে তাদের দস্যুবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছে।
news24bd.tv/ab