জিম্মি ছেলের মুক্তির খবর পেয়ে আবেগে আপ্লুত পরিবার

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিক সাব্বির

জিম্মি ছেলের মুক্তির খবর পেয়ে আবেগে আপ্লুত পরিবার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

নাবিক সাব্বিরের মুক্তির খবর শুনে তার পরিবারে খুশির বন্যা বইছে। সাব্বিরের বাসায় যেন আজ ঈদের আনন্দ লেগেছে। সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিক সাব্বিরের বাবা হারুন অর রশীদের বাবাকে ঈদের তিন দিন আগে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, ছেলেকে ছাড়া ঈদ কেমন কাটবে? তিনি জানান, ঈদের দিন আমরা আনন্দ করতে পারি নাই। ছেলে কখন খুশির সংবাদ দিবে সে অপেক্ষায় থাকতাম।

আজ টিভি দেখতে পেলাম আমার ছেলেসহ সবাই মুক্তি পেয়েছে এ কথাটা টিভিতে শোনার পর আজ মনে হচ্ছে আজকে আমাদের ঈদের দিন।

তারপর ছেলে সকালের দিকে কল দিয়ে বলে বাবা ভালো আছি চিন্তা করো না। যেদিন আমার ছেলে আমার বুকে আসবে, সেদিন আরও বেশি আনন্দিত হবো।

সাব্বিরের মা সালেহা বেগম বলেন, সাব্বিবের সাথে একটু কথা হয়েছে।

ও বলেছে মা, চিন্তা করো না, আমরা মুক্তি পেয়েছি এবং সবাই ভালো আছি। এ কথা শোনার পর যেন মনটা ভরে গেল। ঈদের দিন আনন্দ করতে পারি নাই ছেলের চিন্তায়। একটা মাস কিভাবে কেটেছে তাও বলতে পারবো না। আজ যখন ছেলে কল দিয়ে বললো মুক্তি পেয়েছে এবং ভালো আছে। কথাটা শোনার পর থেকে আজ যেন ঈদ ঈদ মনে হচ্ছে। ছেলেকে কাছে পেলে আনন্দটা আরও বেশি বেড়ে যাবে।

সাব্বিবের বোন মিতু আক্তার বলেন, ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় এক মাস আমাদের বিষাদের দিন কেটেছে। সকালে এক-দুই মিনিটের মতো আমার ভাইয়ের সাথে আমি ও বাবা-মা কথা বলেছি। আমার ভাই বলেছে আমরা সবাই ভালো আছি ও সুস্থ আছি। এ কথা শোনার পর আমাদের খুব ভালো লাগছে, খুব খুশি লাগছে। তবে আনন্দটা আরও বেড়ে যাবে আমার ভাই দেশে ফিরলে। ও কবে দেশে আসবে তা এখনও বলতে পারছি না। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া, সুস্থভাবে মুক্তি পেয়েছে। ঈদের দিন আমাদের আনন্দ ছিল না, আজ আমাদের ঈদের দিনের মতো লাগছে।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, এখনও সাব্বিরের পরিবারের সাথে কথা হয়নি।

উল্লেখ্য, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ওই জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারামিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।

news24bd.tv/SC