উৎসব মুখর ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কানাডার টরেন্টোতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩১। রোববার (১৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় তুষারাবৃত কানাডার কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসী বাঙ্গালীরা দিনব্যাপী মেতেছিল উৎসবে। দিনটি পরিণত হয় অন্যরকম এক মিলনমেলায়।
টরেন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ডেন্টোনিয়া পার্কে বৈশাখের রঙ, ভালবাসা, আড্ডার রঙ, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় একে অপরের সান্নিধ্যে শ্রদ্ধা, ভালবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়-মন ভরে উঠেছিল প্রবাসী জীবনের আনন্দ জয়গানে।
শিশু-কিশোর আর নারী পুরুষের পদভারে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল ডেন্টোনিয়া পার্ক। নতুন প্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় স্বত্ত্বাকে তুলে ধরাই ছিল বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের মূল লক্ষ্য।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশের চারুকলার আদলে আর্ট কোয়েস্টের নন্দনিক মুখোশ, মুকুটের মঙ্গল শোভাযাত্রা এক অন্য মাত্রার সংযোজন করেছিল।
শত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ’ দিয়ে আয়োজন শুরু হয়।
দিনব্যাপী প্রাণের মেলায় পদ্মা-যমুনা মিলনের মতই প্রবাসী বাঙালিদের পাশাপাশি বিদেশিরাও এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উপোভোগ করেন সকাল থেকে বিকেল অবধি। আনন্দের আবহে দুপুর থেকে বিকেল অবধি বাঙালির চিরাচরিত আড্ডা আর লোকে লোকারণ্যে মুখরিত গানের সুরে, কবিতার ছন্দে, নাচের মুদ্রায় আর উপস্থাপনায় কোথাও যেন ঘটেনি ছন্দপতন।
কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মেরী রাশেদীন বলেন, সব দুঃখের স্মৃতি ভুলিয়ে নতুন নতুন আনন্দে ভরা স্মৃতি তৈরি করার সময় চলে এসেছে। তাই পহেলা বৈশাখের এই শুভ দিনটিকে আমরা পরিবারে সঙ্গে, বাংলা কমিউনিটির সঙ্গে আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করছি।
আর্ট কোয়েস্টের সোনিয়া জাহান বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা, মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে দিনব্যাপী আয়োজনে সব পেশার নাগরিকদের উপস্থিতি আমাদের আয়োজনকে সমৃদ্ধ করেছে। তাই আমার ও আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাগত এবং নববর্ষের শুভেচ্ছা।
দূরপ্রবাসে বাঙালি সংস্কৃতির এ উৎসব যেন এক মহামিলন। কর্মজীবনের পাশাপাশি সম্প্রীতির বন্ধনে এমনি করে বারবার মহামিলনে জেগে উঠুক নতুন প্রজন্ম। এমনটাই প্রত্যাশা কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
news24bd.tv/ab