সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেলেছেন এক হাজাম (খতনাকারী)। ঘটনার পর আহত শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রোববার দুপুরের দিকে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জের রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সোবাহান নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান নির্জন (১১) নামে শিশুটি ওই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। হাজাম (খতনাকারী) আকবর আলী উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নতুন চর-আলগী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লিঙ্গ কেটে ফেলেছেন এক হাজাম। এ ঘটনার পর অসুস্থ নির্জরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাদের বাড়িতে কেউ নেই।
ভুক্তভোগী নির্জনের চাচাতো বোন মোসা. নাদিরা বেগম বলেন, আমার ভাইয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী নির্জনের চাচাতো বোন জামাই শাফায়েত হোসেন বলেন, খতনা করার সময় আমি নির্জনকে ধরে বসেছিলাম। প্রথমবার নির্জনের পুরুষাঙ্গের চামড়া কাটার পর খতনা হয়নি বলে দ্বিতীয়বার কাটতে গিয়ে গোপনাঙ্গের অর্ধেকের বেশি অংশ কেটে ফেলে দেন হাজাম। এ ঘটনার পরও হাজাম (খতনাকারী) আকবর আলী বলেন, আমি এটা ঠিক করতে পারবো।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, খতনাকারী আকবর আলী শিশুটির সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লিঙ্গের নির্ধারিত অংশের থেকে বেশি কেটে ফেলেন তিনি। এরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসকেরা। সেখানে তার লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
অভিযুক্ত আকবর আলী (হাজাম) গোপনাঙ্গ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি ভুলে ওই শিশুর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছি।
আকবর আলী বলেন, আমি ৩৫ বছর ধরে এ কাজ করি। নানা-দাদাদের কাছ থেকে শিখেছি। আমার চাচা-চাচাতো ভাইসহ অনেকে এ পেশায় জড়িত। এ ধরনের ঘটনার আগে কখনও ঘটেনি। কীভাবে কী হয়ে গেল আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজেদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
news24bd.tv/তৌহিদ
