জেলেই থাকতে হচ্ছে কেজরিওয়ালকে

জেলেই থাকতে হচ্ছে কেজরিওয়ালকে

জেলেই থাকতে হচ্ছে কেজরিওয়ালকে

অনলাইন ডেস্ক

নিম্ন আদালতের সুপ্রিম কোর্টেও জামিন পেলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে তাকে। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের সময়ও কারাগারেই থাকছেন তিনি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধানকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়।

শুনানি শেষে কেজরিওয়ালের জেল হেফাজতের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন বিচারক।

 নির্বাচন সামনে করে দুর্নীতির মামলায় গত ২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তল্লাশি অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি। সেদিন রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। কেজরিওয়ালই ভারতের প্রথম কোনো মুখ্যমন্ত্রী যিনি দায়িত্ব পালনকালে গ্রেফতার হয়েছেন।


 
পরদিন তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করে ইডি। আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এরপর রিমান্ডের মেয়াদ আরও চারদিন বাড়ানো হয়। দু’দফায় ১১ দিন ইডি হেফাজত শেষে গত ১ এপ্রিল দিল্লির আদালত কেজরিওয়ালকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
 
সেই থেকে তিহার জেলেই রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারকে তার দল আপসহ বিজেপিবিরোধী জোট ইন্ডিয়া ‘বেআইনি’ ও ‘ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছে। সেই সঙ্গে বিক্ষোভ-প্রতিবাদও অব্যাহত রয়েছে।  গ্রেফতারকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন কেজরিওয়াল। গত ৯ এপ্রিল সেই মামলার শুনানির পর দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, কেজরিওয়ালকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়নি।
 
দিল্লি হাইকোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আপ প্রধান। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়।
 
শুনানিতে সময় কেজরিওয়ালের আইনজীবী বলেন, নির্বাচনী প্রচার থেকে দূরে রেখে বিপক্ষকে (বিজেপিবিরোধী) দুর্বল করতেই কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেটা করা হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি জারি থাকা সত্ত্বেও।
 
ইডি এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে জানায়, আবেদন এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে মনে করা যেতে পারে গ্রেফতার বাতিলের জন্য নয়, এটা জামিনের আবেদন। কেজরিওয়ালের আইনজীবী আগামী শুক্রবার আবার শুনানির দিন ধার্য করার অনুরোধ জানালে বিচারপতিরা তা নাকচ করে দেন। বিচারপতি খন্নার বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, এত তাড়াতাড়ি মামলার তারিখ দেয়া সম্ভব নয়। আগামী ২৭ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিনই ইডিকে তাদের রিপোর্ট জমা করতে হবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
 
ভারতে সাত ধাপের লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে ১৯ এপ্রিল থেকে। দ্বিতীয় দফায় ভোট ২৬ এপ্রিল। এই দুই ধাপে কেজরিওয়াল দেশের কোথাও প্রচারে যেতে পারছেন না। কেজরিওয়ালের দল দিল্লি ও পাঞ্জাবে ক্ষমতায় আছে। লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭ আসনের ভোট ষষ্ঠ দফায়, ২৫ মে। পাঞ্জাবের ১৩ আসনের ভোট শেষ দফায়, ১ জুন। সুপ্রিম কোর্ট সহায় হলে জামিন পেয়ে এই দুই ভোটে কেজরিওয়াল প্রচার করতে পারবেন। কিন্তু সেটাও আদৌ সম্ভবপর হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
news24bd.tv/aa