পাহাড়ে জলোৎসব

পাহাড়ে জলোৎসব

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

সাংগ্রাই অর্থাৎ জলোৎসব। এটিকে মারমা ভাষায় রিলংপোয়ে বলা হয়। পার্বত্যাঞ্চলে অর্ধ মাসব্যাপী চলা বৈসাবির উৎসবের শেষ আনুষ্ঠানিকতা হচ্ছে এ সাংগ্রাই। মূলত এটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীদের মধ্যে মারমা ও রাখাইয়ন সম্প্রাদয় পালন করে থাকে।

বিশেষ করে নতুন বছরকে বরণ আর পুরো বছরকে বিদায় দিতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। শুধু রাঙামাটি নয়, এ উৎসব পর্যায়ক্রমে চলবে অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানেও।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাঙামাটি মারি স্টেডিয়ামে পার্বত্য জেলা পরিষদের সহায়তায় মারমা সংষ্কৃতি সংস্থা মাসস এর উদ্যোগে আয়োজন করা হয় সাংগ্রাই উৎসব। উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধূরীর সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন,অর্থ মন্ত্রাণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান, রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, রাঙামাটি বিজিবির সেক্টর কমান্ডার লে. কর্ণেল আনোয়ার লতিফ খান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান ও রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তোৗহিদ উপস্থিত ছিলেন।

এ আগে কাশিতে ঘণ্টা বাজিয়ে সাংগ্রাই উৎসবের সূচনা করেন, রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এপর শুরু হয় জলোৎসব। মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে জল ছিটিয়ে কাবু করার প্রতিযোগিতায় সামিল হয়। এর আগে মারি স্টেডিয়াম জনসমুদ্র পরিণত হয়। কানায় কানায় ভরে যায় পাহাড়ি-বাঙালী তরুণ-তরুণীদের পদাচারণায়।

অন্যদিকে চলে মারমা ও রাখাইয়ন নারী-পুরুষের নাচ ও গানের আসর। চলে দিনব্যাপী।

প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল শুরু হওয়া প্রায় অর্ধ মাসব্যাপী তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের বৈসাবি উৎসব শেষ হবে এ সাংগ্রাইয়ের মধ্য দিয়ে।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক