অবিবাহিত তরুণীদের নামে মাতৃত্বকালীন ভাতা, বন্ধ ভুয়া নাম্বার

সংগৃহীত ছবি

অবিবাহিত তরুণীদের নামে মাতৃত্বকালীন ভাতা, বন্ধ ভুয়া নাম্বার

অনলাইন ডেস্ক

অবিবাহিত, সদ্য বিবাহিতদের নামে তোলা হচ্ছে মাতৃত্বকালীন ভাতা। যাদের নামে তোলা হচ্ছে তারা নিজেরাও জানেন না বিষয়টি। এমন অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর ডিমলায় খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ কয়েকটি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। তবে অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

অভিযোগ রয়েছে, দুই শতাধিক নারীর নামে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড অনুমোদন দেন ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান সরকার। এর মধ্যে প্রায় ৩০টি কার্ড করা হয়েছে অবিবাহিত, সদ্য বিবাহিত ও ভুয়া নাম-ঠিকানায়।

যাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে তারা কার্ডের কথা জানেন না।

অন্যদিকে টাকা উত্তোলনে যে মোবাইল নম্বরগুলো ব্যবহার হয়েছে সেগুলো আছে বন্ধ। অভিযোগ আছে, ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে ৩০ সুবিধাভোগীর নামে ৩ লাখেরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি চক্র।

মাতৃত্বকালীন ভাতা এর তালিকায় নাম রয়েছে এমন এক তরুণীর যে এখনও শিক্ষার্থী ও অবিবাহিত। অদ্ভুত বিষয় হলো শিক্ষার্থীসহ সেটি জানে না তাঁর পরিবার। এ নিয়ে বিপাকে পরিবারটি। তরুণীর বাবা বলেন, ‘মেয়ের মাতৃভাতা হলে আমি জানতাম, আমার পরিবারের কেউ না কেউ জানতো। কিন্তু আমরা কেউ কিছু জানি না। ’

তরুণী বলেন, ‘হুট করে আমি জানতে পারি আমার নামে মাতৃভাতার কার্ড করা হয়েছে। আমি তো অবিবাহিত, আমার সাথে কেমনে কী হইলো! এই বিষয়ে আমার ফোনে টাকাও আসে না। ’

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান সরকার। তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে কোনো অপকর্ম হয় নাই। সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভুয়া। আমাকে হেয় করার জন্য আমার প্রতিপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। ’

অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য নীতিমালা আছে, ব্যত্যয় হলে তা বাতিল হবে। আর টিআর কাবিখার টাকা যথাযথ ব্যবহার না করলে কমিটি ও সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে। ’

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক