বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক আব্দুল হালিম জীবনের (৪৮) চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি মো. রকিব হোসেন জিহাদ (২০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জিহাদ সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামের মো. আফিল উদ্দিনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল কালাম আজাদ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই সাইফুল মালেক বুধবার রাতে জানান, প্রবাসী জীবন হত্যাকাণ্ডে জড়িত জিহাদ ঘটনার সময়কালে ধস্তাধস্তিতে আহত হয়ে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন ছিল। কয়েকদিন আগে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় এবং সেখানে সে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন ছিল। ওই অবস্থায় বুধবার সকালে সে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ শেরপুরে নিয়ে এসে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ রাতে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের চরাঞ্চল চুনিয়ারচর এলাকা থেকে জীবনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর গত ১ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যারহস্য উদঘাটনের তথ্য জানায় পুলিশ এবং ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই নারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ (৪৫), একই ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে মোবারক মোস্তাক (৩২), মো. আফিল উদ্দিনের ছেলে মো. রকিব হোসেন জিহাদ (২০) ও হযরত আলীর ছেলে মো. কালু মিয়া (২৫), শহরের পূর্বশেরী এলাকায় ভাড়ায় বসবাসকারী ফারুক আহাম্মেদের স্ত্রী রুপা বেগম (২৮) এবং কান্দাশেরীচর এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪০)।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জিহাদ ও কালু হত্যার সময় ধস্তাধস্তিতে আহত হয়। তাদের পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, আদালতে সোপর্দ করা চার আসামির মধ্যে দুই নারী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর কয়েকদিন পর কালু সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং সেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
news24bd.tv/ab