মাদারীপুরের কালকিনিতে ১৮ বছর বয়সের এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাজমুছ সাকিবসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ওই কলেজছাত্রীর পরিবার।
এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সাকিব এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কালকিনি থানা পুলিশ।
মামলা, পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহেবরামপুর গ্রামের শাহাবুল বেপারীর ছেলে নাজমুছ সাকিবের সঙ্গে একই এলাকার ওই কলেজছাত্রীর প্রায় দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
এরই সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে ওই কলেজছাত্রীকে তার বসতঘরে একা পেয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক নাজমুছ সাকিব ধর্ষণ করে। পরে এই ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয়রা নাজমুছ সাকিবকে জিজ্ঞেস করলে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেন সাকিব।
কিন্তু ঘটনার বেশ কয়েকদিন পার হলেও ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে না করে সাকিব এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পরে থানা পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
মামলার বাদী কলেজছাত্রীর মা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেছে নাজমুছ সাকিব। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়টি জানার জন্য অভিযুক্ত ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের জন্য চেষ্টা করা হলে তাদেরকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন স্থানীয়রা বলেন, এই ঘটনা জানতে পেরে আমরা নাজমুছ সাকিবকে জিজ্ঞেস করলে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরে ঘটনার বেশ কয়েকদিন পার হলেও ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে না করে অভিযুক্ত ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার এস. আই মো. ফয়সাল বলেন, কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। পরে ওই তরুণীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং আসামীকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।
