পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের ওপর যেসব বিপদ-আপদ নিপতিত হয়, তা তোমাদেরই কর্মফল। তিনি অনেক গুনাহ মাফ করে দেন’। (সূরা: আশ্-শূরা, আয়াত: ৩০)
‘আর যখন তোমাদের ওপর মুসিবত এলো, যার দ্বিগুণ তোমরা ঘটিয়েছ, তখন তোমরা বললে, এটা কোত্থেকে এলো! (হে নবী) আপনি বলে দিন, এ তো তোমাদের পাপ থেকেই; নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়েই সর্বশক্তিমান’। (সূরা: আল ইমরান, আয়াত: ১৬৫; মারেফুল কোরআন: ৬৭৫৩)
‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে স্থলে ও সমুদ্রে ফ্যাসাদ প্রকাশ পায়, যার ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের কিছু কৃতকর্মের স্বাদ তাদের আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে’।
অর্থাৎ গুনাহ বেশি হলে সবকিছু থেকে বরকত উঠে যায়। ফ্যাসাদ শুরু হয়ে যায়। বিপদ ও বালা-মসিবত একের পর এক আসতেই থাকে। যুগে যুগে মানুষকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন আজাব-গজব দিয়ে শাস্তি দিয়েছৈন, সতর্ক করেছেনন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান, মাল ও ফল-ফলারির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা নিজেদের বিপদ-মুসিবতের সময় বলে ‘নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা আল্লাহরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী’, তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত এবং তারাই হেদায়াতপ্রাপ্ত। ’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৭)
ঝড় তুফান হলে যে দোয়া পড়তে বলা হয়, সেটি হলো, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা’। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের থেকে ফিরিয়ে নাও, আমাদের ওপর দিয়ো না’। (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি)। প্রচণ্ড ঝড়ের সময় আজান দেওয়া সুন্নত।
news24bd.tv/আইএএম