তীব্র দাবদাহে রাজশাহীতে বেড়েছে ডায়রিয়ার রোগী

তীব্র দাবদাহে রামেক হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়ার রোগী। ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহে রাজশাহীতে বেড়েছে ডায়রিয়ার রোগী

অনলাইন ডেস্ক

তীব্র রোদ-গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ও তীব্র তাপদাহ। যার প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে। জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।

ডাক্তারের চেম্বারে ও হাসপাতালে দীর্ঘ হচ্ছে রোগীর সিরিয়াল।

রাজশাহীর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে আগামী ৩-৪ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেও রাজশাহীর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া। দূষিত পানি পান করার মাধ্যমে এ রোগ হয়। এ ছাড়া গরমের কারণে ডায়রিয়ার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশু-কিশোররা এই রোগে বেশি ভুক্তভোগী হয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বারান্দায় তিল পরিমাণ ঠাঁই নাই। ওয়ার্ডগুলোতে রোগী ঠাসা। একই চিত্র হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে। বহির্বিভাগেও শিশু ও মেডিসিন চিকিৎসকদের চেম্বারের সামনে রোগীদের দীর্ঘ সিরিয়াল দেখা গেছে। হাসপাতালের ইনডোর, আউটডোর ও জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ বাড়ছেই।

রামেক হাসপাতালের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, তীব্র দাবদাহে রোগীর ভিড় বাড়ছে। গত ১৬ এপ্রিল হাসপাতালের আউটডোরে ১৯ জন, ইনডোরে ৩৮ জন এবং জরুরি বিভাগে ৭৮ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। যা বুধবার (১৭ এপ্রিল) আরও বেড়েছে। ১৭ এপ্রিল ১২ বছরের কম বয়সী শুধু শিশু ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছে ২৪ জন। ১২ বছরের বেশি শিশু ভর্তি হয়েছে ১৪ জন। যা গত ১৮ এপ্রিল ১২ বছরের কম বয়সী শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ জনে। ১২ বছরের বেশি বয়সী ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ভর্তি রয়েছে ১৫ জন।  

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অব্যাহত তাপ প্রবাহের কারণে হাসপাতালে চাপ বেড়েছে। অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন, যেখানে-সেখানে ও পানির উৎসের কাছে মলত্যাগ, সঠিক উপায়ে হাত না ধোয়া, অপরিচ্ছন্ন উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণ এবং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে এ সময় দোকান, রেস্তোরাঁ বা বাসায় পচন ধরা ফ্রিজের খাবার গ্রহণ ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ। তাই এ বিষয়ে সর্তক থাকার আহবান স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে।

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক