শেরপুরে মসজিদ কমিটির বিরোধে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

শেরপুরে মসজিদ কমিটির বিরোধে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে মসজিদ, মাদ্রাসা ও গোরস্থান পরিচালনা কমিটির বিরোধের জের ধরে এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার শহরের অষ্টমীতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মুক্তিযোদ্ধার নাম আলহাজ মো. মোখলেছুর রহমান আকন্দ। তিনি সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি।

এদিকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে আজ ২০ এপ্রিল শনিবার বিকেলে শহরের টাউনহল মোড়স্থ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কার্যালয়ে এক সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনের মুখোমুখি করা দাবি জানান তিনি।

সাংবাদিক সম্মেলনে মোখলেছুর রহমান আকন্দ অভিযোগ করে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে শহরের অষ্টমীতলা আশরাফিয়া জামে মসজিদ, কাছিমুল উলুম হোসাইনিয়া মাদ্রাসা ও গোরস্থান কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে স্থানীয় স্বপন মিয়া ও আজাহার আলী রাজার নেতৃত্বে একটি পক্ষ ওই কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য তাকে নানাভাবে চাপ দিচ্ছিল।

শুক্রবার ওই মসজিদে জুমার নামাজের পর তিনি ৩টি কমিটিই বিলুপ্ত ঘোষণা করে আলোচনা সাপেক্ষে আহবায়ক কমিটি গঠন করার ঘোষণা দেন। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিক নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণার দাবি করে বাদানুবাদে জড়ায়। এক পর্যায়ে তিনি আপন ভাতিজা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এ্যাডভোকেট রাসেল রহমান আকন্দকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়লে স্বপন ও রাজার নেতৃত্বে নেতৃত্বে মজিদ, সোহেল, সাঈদ, মাসুদ, দুলাল, নূর হোসেন, ফরিদ, প্রজা, তুষার, উজ্জল, রিপন, রুহুল, সাদ্দামসহ ২৫/২৬ জন যুবক দেশিয় অস্ত্রে শজ্জিত হয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে এবং তার পরিহিত পাঞ্জাবি টেনে-হিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলে ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

ওইসময় ভাতিজা এ্যাডভোকেট রাসেল ও পৌর কাউন্সিলর নাসিরুল আলম নাহিদসহ কয়েকজনকে সন্ত্রাসী কায়দায় মারপিট করে। সেইসাথে তারা তাকে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে নানা হুমকি দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থাকা তার পরিচালনাধীন একটি ঔষধের দোকান ও ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়ি চালাতে দেবে না বলে হুমকি দিয়েছে। হামলাকারীদের অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াত সমর্থক এবং তারা সন্ত্রাস ও নাশকতার মামলার আসামি ছিল বলে দাবি তার।

ওই ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে স্বপন মিয়া ও রাজা মিয়াসহ ১৪ জনকে স্বনামে এবং আরও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওইসময় তিনি নাজেহালের সময় ছেড়া পাঞ্জাবি উপস্থাপন করে দেখান।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এ্যাডভোকেট রাসেল রহমান আকন্দও হামলার ঘটনার বর্ণনা দেন। ওইসময় স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান আকন্দ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক