মহানবী (সা.) যেভাবে তরমুজ খেতেন

মহানবী (সা.) যেভাবে তরমুজ খেতেন

 মাইমুনা আক্তার

গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলের অন্যতম হচ্ছে তরমুজ। এটি মহান আল্লাহর নিয়ামত ও কুদরতের অপূর্ব নিদর্শন। স্বাস্থ্যগত দিক থেকে তরমুজ অনেক উপকারী। তরমুজের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ক্যারোটিনয়েডস বেশি থাকায় শরীরের কোষকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।

এ ছাড়া আলঝেইমার্স, ত্বক-চুল, পেশির ব্যথা, সান বার্ন, হার্ট অ্যাটাক, ক্যান্সার ইত্যাদি উপশমে তরমুজের ভূমিকা আছে বলে অনেকে দাবি করেন।

তবে মাত্রার চেয়ে বেশি খেলে কখনো কখনো হিতে বিপরীত হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। যেমন—তরমুজে প্রচুর পানি ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। বেশি পরিমাণে তরমুজ খেলে হজমে গোলযোগ দেখা দিতে পারে।

বিশেষ করে ডায়রিয়া, খাবার হজম না হওয়া, গ্যাসের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এতে চিনির যৌগ হিসেবে পরিচিত সরবিটল থাকে, যাতে গ্যাসের সমস্যা ও পাতলা পায়খানা তৈরি করে। তাই এ ধরনের ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যালান্স রক্ষা করা জরুরি।

প্রিয় নবীজি (সা.)-এর যুগেও এই ফলটি ছিল। নবী (সা.)-ও এই ফল খেতেন, তবে তিনি এই ফল গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতেন, যাতে এর ক্ষতিকর প্রভাব শরীরে না পড়ে। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাজা খেজুর দিয়ে তরমুজ খেতেন। তিনি বলতেন, এর ঠাণ্ডা ওর (খেজুরের) গরম কমাবে, এবং এর (খেজুরের) গরম ওর (তরমুজের) ঠাণ্ডা কমিয়ে দেবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৩৬)

এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রেও নবীজি (সা.) অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। প্রতিটি মুমিনেরই উচিত জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সতর্কতা অবলম্বন করা, বুঝেশুনে কাজ করা; এমনকি খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও নবীজি (সা.)-এর সুন্নত অনুসরণ করা।

আবহাওয়া, খাবারের উপকারিতা-অপকারিতা ইত্যাদি বিবেচনা করে সঠিক পদ্ধতিতে খাবার গ্রহণ করা। যেমনটা নবীজি (সা.) করেছেন। কারণ সব খাবার সবার জন্য সমান উপকারী নয়। শরীরে রোগ-ব্যাধি থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক নিয়মে খাবার গ্রহণ করতে হবে।

মহান আল্লাহ সবাইকে নবীজির সুন্নত মোতাবেক জীবন গড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এই রকম আরও টপিক