সিরিয়ায় মার্কিন সেনাঘাঁটিতে রকেট হামলা

সিরিয়ার একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত পাঁচটি রকেট ছোড়া হয়েছে। ছবি: সিএনবিসি

সিরিয়ায় মার্কিন সেনাঘাঁটিতে রকেট হামলা

অনলাইন ডেস্ক

ইরাকের জুম্মার শহর থেকে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত পাঁচটি রকেট ছোড়া হয়েছে। কাতাইব হিজবুল্লাহ নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার দুই ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র ও এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিরিয়ার রুমালিনের একটি জোট ঘাঁটিতে এ হামলা চালানো হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরাকি নিরাপত্তাবাহিনীর দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, গতকাল রোববার ইরাকি শহর জুমার থেকে সিরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম কোনো ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালালো।  

এই হামলা এমন এক সময়ে হয়েছে যখন, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। ওয়াশিংটন শিয়া আল-সুদানি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই অবস্থায়, ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ফের ঝুলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।

 

সূত্র জানিয়েছে, একটি ছোট ট্রাকের পেছনে রাখা একটি রকেট লঞ্চারের সাহায্যে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী শহর জুমার জুমার থেকে রকেটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণের পরপরই একটি রকেট বিস্ফোরিত হয়ে ট্রাকটিতে আগুন ধরে যায়। সে সময় আকাশে একটি মার্কিন যুদ্ধবিমানও উড়ছিল। তবে সেই যুদ্ধবিমান থেকে ট্রাকটিতে কোনো হামলা চালানো হয়েছিল কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি সূত্রটি।

দুটি নিরাপত্তা সূত্র এবং একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, একটি ছোট ট্রাকের পেছনে স্থির করে লাগানো একটি রকেট লঞ্চার সিরিয়ার সীমান্তবর্তী শহর জুম্মারে পার্ক করা হয়েছে। সেখান থেকেই রকেটগুলো ছোড়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 
একজন ইরাকি সেনা কর্মকর্তা বলেন, ধ্বংস হওয়া ট্রাকটিকে আরও তদন্তের জন্য জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকটি একটি বিমান হামলায় ধ্বংস হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে।

ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট বন্ধ করার জন্য আলোচনায় অগ্রগতি দেখে প্রায় তিন মাস হামলা স্থগিত করেছিল সশস্ত্র দলগুলো। কিন্তু ওই আলোচনার আর কোনো ফলাফল না থাকায় তারা আবারও আক্রমণ শুরু করেছে বলে টেলিগ্রাম গ্রুপের একটি পোস্টে দাবি করেছে কাতাইব হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি দল।

news24bd.tv/DHL