রংধনুর রফিকের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দুদকের

সংগৃহীত ছবি

রংধনুর রফিকের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দুদকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নামার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানায়। তারা জানিয়েছে, রফিকুল ইসলামের লাগামহীন দুর্নীতি ও বিক্রিত জমি বন্ধক রেখে প্রতারণার মাধ্যমে ২৭০ কোটি ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির আইনজীবী। পরে হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ইয়ামিন নেওয়াজ খান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।

দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘লাগামহীন দুর্নীতি, বিক্রি করা জমি বন্ধক রেখে প্রতারণার মাধ্যমে ২৭০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। গত ১৮ এপ্রিল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সিদ্ধান্তটি আদালতকে জানিয়েছি।

তিনি বলেন, যে কারণে এ সংক্রান্ত রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে আদেশ দিয়েছেন। এখন এ অভিযোগ অনুসন্ধানে একজন অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে।

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত বছর ২৬ নভেম্বর দুদকে লিখিত অভিযোগ দেন আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর শামস। সংস্থাটির চেয়ারম্যানকে দেওয়া অভিযোগে রফিকুলের একাধিক দুর্নীতি ও জাল-জালিয়াতির কথা উল্লেখ করে এসব অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়।

দুদকে করা অভিযোগের অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকেও পাঠান অভিযোগকারী। কিন্তু অভিযোগের বিষয়ে দুদককে পদক্ষেপ নিতে না দেখে সংস্থাটির নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। গত ১৯ মার্চ রিটটি শুনানিতে ওঠে।

ওই দিন দুদকের আইনজীবী আদালতকে বলেন, রিট আবেদনকারীর অভিযোগ দুদকের বিবেচনায় রয়েছে। এটার (অভিযোগের) ওপর কাজ করছে দুদক।

আদালত জানান, এখন কী পর্যায়ে আছে তার হালনাগাদ (আপডেট) তথ্য জেনে জানাতে হবে। সে পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখা হোক। তখন হাইকোর্ট দুদককে অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ জানাতে বলে শুনানি পিছিয়ে দেন। সে ধারাবাহিকতায় রিট আবেদনটি শুনানিতে উঠলে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানায় দুদক।

এই রকম আরও টপিক