নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অপহরণ ও মারধরের শিকার সেই প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশা চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল লতিফ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাশাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
গত ১৫ এপ্রিল নির্বাচন অফিসের নিচ থেকে দুই ভাইসহ অপহরণ হন আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা।
অভিযোগ রয়েছে পাশার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির শ্যালক।
রুবেল উপজেলার শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী করতেই দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ।
পরে পাশার ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে নাটোর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে যুবলীগ নেতা সুমন আহমেদ নামে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার পর নাটোর গোয়েন্দা পুলিশ সিংড়ার শেরকোল এলাকা থেকে অপহরণে ব্যবহৃত কালো রং এর হাইস গাড়িসহ দুটি গাড়ি জব্দ করে। গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি বিদেশি ধারালো অস্ত্র, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ লুৎফুল হাবিব রুবেলের লিফলেট, স্টিকার উদ্ধার করা হয়।
এসকল ঘটনার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে এমপি মন্ত্রীর স্বজনেরা উপজেলা পরিষদে প্রার্থী হতে পারবেন না প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্ত ও তার দুলাভাই পলকের নির্দেশনার পর রোববার রুবেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
