সিরাজগঞ্জে হিট স্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের কালুপাড়ায় মাঠে কাজ করার সময় কৃষক আফসার আলী (৬৫) ও একই দিন দুপুরে কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের পাটাগ্রামের চরে কৃষক পেয়ার ব্যাপারী (৭৫) হিট স্ট্রোকে মারা যান।
কৃষক আফসার আলী তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের কালুপাড়া গ্রামের মৃত মাহারম আলীর ছেলে ও কৃষক পেয়ার আলী কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের পাটাগ্রাম এলাকার বাসিন্দা।
এছাড়াও প্রচণ্ড গরমে অস্থির হয়ে দুপুরে তাড়াশ উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের সরাবাড়ি গ্রামের মৃত আছাদ আলীর ছেলে মো. হাসান আলী (৪৩) নামে এক অসুস্থ ব্যক্তি স্ট্রোকে মারা গেছে।
গান্ধাইল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবু বকর সিদ্দিক জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বৃদ্ধ পেয়ার আলী তার কৃষি জমি দেখার জন্য যমুনায় জেগে ওঠা চরের মধ্যে যায়। এক পর্যায়ে প্রচণ্ড রোদে তিনি অসুস্থতাবোধ করে চরে বালির ওপর পড়ে হিয়ে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেন।
অন্যদিকে কৃষিক আফসার আলীর স্বজনরা জানান, সকাল ৭ টার দিকে কৃষক আফসার আলী কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে ক্ষেতে যান। কাজ করার সময় গরমে হিট স্ট্রোকে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, কালুপাড়ায় আফসার আলী নামে এক কৃষক হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে শুনেছি।
বারুহাঁস ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, হাসান আলী হার্টের রোগী ছিল। তার মধ্যে প্রচণ্ড গরমের কারণে হিট স্ট্রোকে নিজ বাড়িতেই মারা গেছেন।
তাড়াশ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওনি) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, গত তিনদিন ধরে সিরাজগঞ্জে এ যাবত কালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন ধরেই সিরাজগঞ্জে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। এপ্রিল তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।
এদিকে, অতিরিক্ত গরমের কারণে সিভিল সার্জন অফিস সতর্কতা জারি করে হাসপাতাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে। গরমে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন। সুতি ঢিলেঢালা পোষাক পরার নির্দেশনা দিয়েছেন।
news24bd.tv/তৌহিদ
