সাড়া দিচ্ছে নাসার ৪৬ বছরের পুরোনো নভোযান

ভয়েজার-১ এর থ্রিডি মডেল (সংগৃহীত ছবি)

সাড়া দিচ্ছে নাসার ৪৬ বছরের পুরোনো নভোযান

অনলাইন ডেস্ক

প্রায় ৪৬ বছরের বেশি আগে চালু করা নাসার মহাকাশযান ভয়েজার-১ এ গত বছরের নভেম্বরে দেখা যায় যোগাযোগ ত্রুটি। যে সত্তরের দশকে এই ভয়েজার-১ তৈরি করা হয়েছিলো, সেই প্রযুক্তি আর এখন নেই। তবে বেশ কয়েক মাস চেষ্টার পর সেই ত্রুটি সরানো গেছে বলে জানা গেছে। এর ফলে আবারও পৃথিবীতে প্রকৌশল বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য পাঠানো শুরু করেছে ভয়েজার-১।

বর্তমানে ভয়েজার–১ আন্তনাক্ষত্রিক মহাকাশের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করছে। ২০১২ সালে সৌরমণ্ডলের এলাকা ছেড়ে যায় নভোযানটি। ২০ এপ্রিল ভয়েজার–১ থেকে সাড়া পান নাসার বিজ্ঞানীরা। ভয়েজার–১ মহাকাশযান পৃথিবীতে তার অনবোর্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেমের অবস্থা সম্পর্কে ব্যবহারযোগ্য তথ্য–উপাত্ত পাঠাচ্ছে।

এখন বিজ্ঞানসংক্রান্ত তথ্য পাঠানোর ত্রুটি ঠিক করার কাজ চলছে এবং নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে ভয়েজার প্রকৌশল ত্রুটি সমাধান নিয়ে কাজ করছে। ফ্লাইট ডেটা সাবসিস্টেমে (এফডিএস) বিজ্ঞান ও প্রকৌশলবিষয়ক ডেটা প্যাকেজ আকারে জমা হয়।

এর আগে বিগত নভেম্বরে এফডিএস মেমোরির একটি অংশের একক চিপ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সেই চিপে এফডিএস কম্পিউটারের সফটওয়্যার সংকেত রয়েছে। সেই চিপের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেই সংকেতের ক্ষতির ফলে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ডেটা ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ হয়। ভয়েজার–১ পৃথিবী থেকে এত দূরে যে সেটি মেরামত করা সম্ভব না।

সংকেত অন্য কোথাও রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তেমন জায়গা ছিল না। প্রয়োজনীয় সংকেত কয়েক ভাগে বিভক্ত করে এফডিএসের বিভিন্ন জায়গায় সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ১৮ এপ্রিল এফডিএস মেমোরি থেকে নতুন তথ্য পাঠানো হয়। একটি বেতারসংকেত ভয়েজার–১ যানে পৌঁছাতে প্রায় সাড়ে ২২ ঘণ্টা সময় নেয়। এর ফলে খুব স্বাভাবিকভাবে পৃথিবী থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি মাইল দূরে সংকেত আদান-প্রদানে বেশ কিছুটা সময় লাগে। মিশন ফ্লাইট দল ২০ এপ্রিল মহাকাশযানের উত্তর পায়। পাঁচ মাস পর এই সংকেত পেয়ে বেশ উৎফুল্ল ভয়েজার দল।

উল্লেখ্য, ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও দূরবর্তী মহাকাশযান ভয়েজার আন্তনাক্ষত্রিক অনুসন্ধান শুরুর আগে সৌরমন্ডলের সব এলাকা পার যায় বহু আগেই।  

news24bd.tv/SC