কলঙ্কিত অধ্যায় ভুলে ফুটবলে অবদান রাখতে চায় ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স

সংগৃহীত ছবি

কলঙ্কিত অধ্যায় ভুলে ফুটবলে অবদান রাখতে চায় ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স

আসমাউল মুত্তাকিন

ক্যাসিনো কান্ডের পর ফুটবলে ফিরেছে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব। এবার হয়েছে বিসিএলে চ্যাম্পিয়ন। এক সময়ের ফুটবল থেকে মুখ ফিরে নেয়া ক্লাবটি অবদান রাখতে চায় দেশের ফুটবলে।

একটি ক্লাব, একটি স্বপ্ন, রয়েছে কালো অধ্যায়, আছে ফিরে আসার গল্প।

এটি দেশের ঐতিহ্যবাহী দল ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স। ১৯৬০ সালে জন্ম নেয়া ক্লাবটি পর পেশাদার যুগে প্রবেশে করে ২০১৫ সালে। অর্থাৎ জন্মের ৫৫ বছর পর ক্লাবটি খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ চ্যাম্পিনশীপ লিগ (বিসিএলে)। এ যাত্রা আসার পথে ক্লাবটি ঝুলিতে রয়েছে- ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগ, ঢাকা সিনিয়র ডিভিশন লিগ এবং বিসিএলের শিরোপা।

২০১৯ সালে এতিহ্যবাহী ক্লাবটির বুকে নেমে আসে কালো ছায়া। অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ক্লাবটির সাবেক কর্মকতারা গ্রেপ্তার হন। ফুটবল হয়ে যায় বন্ধ। অর্ধশত বছরের ক্লাবটিতে দরজায় ঝুলে তালা। করোনার ছোবল এবং অর্থনৈতিক সমস্যা কাটিয়ে ২০২৩ সালের শেষদিকে ক্লাবটি দেখে আলোর মুখ। এরপর এ বছর চ্যাম্পিয়ন হয় বিসিএল। সুযোগ পায় বাংলাদেশের সবোচ্চ পেশাদার লিগ বিপিএলে।  

ক্লাবটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মাখন নিউজটুয়েন্টিফোরকে বলেন- 'আমি ক্যাসিনো কান্ডের পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টার করছি। নানা রকম সমস্যা রয়েছে। সব কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। '

২০১৭ সালেও বিসিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিপিএলে খেলার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু সেবার অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে খেলেনি ক্লাবটি। সভাপতি বলেন, সে সময়ের কর্মকতারা খেলেনি। সেটা আমি জানি না। কিন্তু ওই সময় খেলার সক্ষমতা ছিল ক্লাবটির।

ক্যাসিনো কান্ড আর অতীত কলঙ্কজনক ঘটনা ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে চায় ক্লাবটি। ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের ক্লাবটি ফুটবলে ফিরেছে। নতুন করে ক্লাব সাজানোর কাজ চলছে। অতীত কলঙ্কিত অধ্যায় ভুলে ভালো করে ক্লাব ফুটবলে আমরা অবদান রাখতে চাই।

এক সময়ে খেলায়াড় তৈরীর কারখানা হিসেবে সুপরিচিত মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটি ঘুরে দাঁড়িয়ে আবারো ফুটবলে অবদান রাখতে চায়।

news24bd.tv/DHL