গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এরই মধ্যে তিন দফায় জারি হয়েছে হিট অ্যালার্ট। মে মাসেও আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভালো হওয়ার জোরালো কোনো ইঙ্গিত নেই। কিন্তু জীবন থেমে থাকে না, বিভিন্ন কাজে অফিসে বা বাইরে বের হওয়ার দরকার হয়।
১। প্রয়োজন ছাড়া তীব্র তাপদাহে বাইরে বের না হওয়াই ভালো। বেরোলেও সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করতে হবে।
২। সব সময় রোদচশমা, ছাতা, টুপি ইত্যাদি সাথে রাখতে হবে। প্রয়োজনে সানমাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩। পাতলা, ঢিলেঢালা হালকা রঙের সুতি পোশাক পরিধান করতে হবে।
৪। বাইরে বের হওয়ার সময় বিশুদ্ধ খাবার পানির বোতল সাথে রাখতে হবে। বাসায় বানানো ফলের জুস ও লাচ্ছি রাখা যেতে পারে। এগুলো শরীরকে আর্দ্র রাখে।
৫। তীব্র তাপদাহে বাইরের খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে, কারণ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ এ সময় বেড়ে যায়। এ সময় প্রকৃতিতে রোগজীবাণু বহনকারী ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপদ্রবও বাড়ে।
৬। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের পরিবর্তে বেশি করে শাক-সবজি, ফলমূল ও আঁশ জাতীয় খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
৭। প্রতিদিন অবশ্যই গোসল করতে হবে। বাইরে থেকে এসে ভেজা সুতি কাপড় দিয়ে শরীরের ঘাম মুছে নিতে হবে। কারণ ঘাম শরীরে শুকিয়ে এ সময় চর্মরোগ হতে পারে।
৮। ঘর-বাড়িতে যাতে স্বাভাবিকভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে তাই সম্ভব হলে দরজা-জানালা খুলে দিয়ে ক্রস ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
৯। বাইরের গরম থেকে এসে যথাসম্ভব বিশ্রাম নিতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা শরবত পান করতে হবে।
১০। তীব্র গরমে কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
news24bd.tv/aa