নাটোরে প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরার সেলাই মেশিন পেল অস্বচ্ছল ২০ নারী

২০ জন নারীর হাতে সেলাই মেশিন তুলে দিল বসুন্ধরা শুভসংঘ

নাটোরে প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরার সেলাই মেশিন পেল অস্বচ্ছল ২০ নারী

অনলাইন ডেস্ক

‘শুভ কাজে সবার পাশে’ বসুন্ধরা শুভসংঘের এই স্লোগানকে সামনে রেখে অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগে ৫ মাস সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে নাটোরে ২০ নারী পেলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন।  

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় নাটোর স্বপ্নকলি স্কুলে অসচ্ছল নারীদের মাঝে ২০টি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে শুভসংঘ নাটোর জেলা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সৈকতের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদুর রহমান।  

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম শরিফ, শুভসংঘের নাটোরের প্রধান উপদেষ্টা রেজাউল করিম রেজা, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অফিসার মো. মামুন,  শুভসংঘের দপ্তর সম্পাদক শরীফ মাহদী আশরাফ জীবন এবং নিউজ টোয়েন্টিফোর ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের নাটোর প্রতিনিধি নাছিম উদ্দিন নাছিম।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শুভ সংঘ নাটোর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুস্ময় কুমার তনয়। পরে অতিথিবৃন্দ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ২০ জন নারীর হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেন। পরে অতিথিবৃন্দ সেলাইমেশিন প্রাপ্ত নারীদের তৈরিকৃত পোষাকের ডিসপ্লে পরিদর্শন করেন। এ সময় তাদের তৈরি পোষাকের প্রশংসা করেন অতিথিরা।

প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদুর রহমান বলেন, আর্থিক অসচ্ছল এইসব নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সেলাই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন পেয়ে তারা আত্মনির্ভশীল হয়ে উঠতে পারবেন। অসহায় এইসব নারীরা প্রশিক্ষণ শেষে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন দেওয়া হলো। তারা এই মেশিনের মাধ্যমে কাপড় সেলাই করে যা উপার্জন করবেন সেটি কিছুটা হলেও সংসারের চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে। ’

নাটোরের চকবৈদ্যনাথ এলাকার বিউটি বেগম বলেন, তার স্বামীর উপার্জনে সংসার ঠিকমত চলেনা।

সন্তানদের নিয়ে কষ্টে তাদের দিন কাটে। তাই বসুন্ধরা শুভসংঘ সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নাম লিখিয়ে পোষাক তৈরী করা শিখেছেন। এখন আশা করছেন এই সেলাই মেশিন দিয়ে পোষাক তৈরি করে উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। একই কথা শাহিদা বেগম, তানিয়া খাতুনদের। তারা বলেন, এই ভাল কাজের জন্য আমরা বসুন্ধরার গ্রুপের কাছে ঋণী।

এখন তারা আমাদের জন্য করছেন। পরিশ্রম করে এই সেলাই মেশিন দিয়ে পরিবারের দুর্দশা ঘোচাতে পারব।  

এদিকে সেলাই মেশিন হাতে পেয়ে চোখ মুছতে থাকেন অন্তরা খাতুন। তাঁর চোখেমুখে আনন্দ আর তৃপ্তি। যেন বেঁচে থাকার একটা অবলম্বন পেলেন তিনি। তিনি বলেন, এবার বোধহয় একটু ভালো থাকার রাস্তা খুঁজে পেলাম। কাপড় সেলাই করে উপার্জন করব। পরিবারের কষ্ট দূর হবে আমার। আপনারা আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন। ’

শুভ সংঘের নাটোর জেলা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও কালের কণ্ঠের নাটোর প্রতিনিধি রেজাউল করিম রেজা বলেন, বসুন্ধরা শুভ সংঘের মূল স্লোগানকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে শুভ সংঘের সদস্যরা। তারা সমাজ সচেতনতামূলক নানা কাজের পাশাপাশি সেলাই প্রমশক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনাসহ আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষদের নানা ধরণের সহায়তা দিয়ে আসছে।

news24bd.tv/কেআই