বগুড়া শহরের মালতিনগরে পটকা তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার নারী দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণে ওই বাড়ির দেয়ালগুলো ধসে যায় এবং টিনের চালা উড়ে যায়।
বাড়ির মালিক দাবি করেছেন সেখানে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- বাড়ির মালিক রেজাউল করিমের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা (৪০), মেয়ে সুমাইয়া আকতার (১৫), রেজাউলের ভাই রাশেদুল ইসলামের মেয়ে জিম আক্তার (১৬) ও তাদের প্রতিবেশী আলী হোসেনের মেয়ে তাসনিম বুশরা (১৪)। এই চারজনের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বুশরার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মালতিনগর এমএস ক্লাব মাঠ সংলগ্ন মোল্লা পাড়ায় এলাকায় আকস্মিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে দেখেন ওই বসভবনের দেয়াল ধসে গেছে এবং টিনের চালা উড়ে গেছে। বিস্ফোরণে দগ্ধ হন ৪ জন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
বাসার মালিক রেজাউল করিম জানান, তিনি ও তার ভাই রাশেদুল একই বাড়িতে থাকেন। তাদের দুই ভাইয়ের মেয়ের সঙ্গে প্রতিবেশী মেয়েটির ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় তারা একই সঙ্গে গল্প করছিল। এ সময় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হলে তারা তিনজন এবং তার স্ত্রী আহত হন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ঈদের মৌসুমে তিনি ও তার ভাই বাড়িতে পটকা তৈরি করলেও এই সময় তারা পটকা তৈরি করেন না। তবে বাড়িতে কিছু পটকা মজুদ রয়েছে। সেসব থেকে বিস্ফোরণ হয়নি বলে দাবি তাঁর।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পটকা তৈরির কাঁচামাল থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাওয়া বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন তাৎক্ষণিক ঘটনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। পুরো ঘটনা তদন্ত শেষে পুলিশের পক্ষ থেকে বক্তব্য জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
news24bd.tv/DHL
