গ্রেপ্তার আতঙ্কে শীর্ষ নেতারা, কূটনৈতিক যুদ্ধে ইসরায়েল

গ্রেপ্তার আতঙ্কে শীর্ষ নেতারা, কূটনৈতিক যুদ্ধে ইসরায়েল

গ্রেপ্তার আতঙ্কে শীর্ষ নেতারা, কূটনৈতিক যুদ্ধে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সম্ভাব্য গ্রেপ্তার এড়াতে বিশ্বব্যাপী দূতাবাসগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে এমন শঙ্কা থেকে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিতে এই সতর্কবার্তা। খবর আনাদোলু এজেন্সি।  

স্থানীয় সময় রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রকাশিত বিবৃতিতে, জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি রাজনৈতিক ও সামরিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সম্ভাবনাকে গুজব বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ অবস্থায় ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সব ইসরায়েলি দূতাবাসকে ইহুদি-বিরোধী এবং ইসরায়েল-বিরোধী যেকোন ঘটনা মোকাবিলায় প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দেন।  

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ইহুদি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সমন্বয় করাসহ সব ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা থেকে আইসিসি (আদালত) বিরত থাকবে বলে আশা করে ইসরায়েল।

এর আগে, জানা গেছে গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তুতি নেয় আইসিসি।

এমন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে নেতানিয়াহু প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি বিশ্লেষক বেন কাসপিট। তিনি জানিয়েছেন, 'নেতানিয়াহু এবং অন্যরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইসরায়েলের অবস্থানের জন্য এটি খুবই খারাপ একটি বিষয় হবে। '

নেতানিয়াহু ও অন্যান্য ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যেন আইসিসি পরোয়ানা জারি না করে সেজন্য কূটনৈতিকভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। আর সেই চেষ্টার সঙ্গে রয়েছে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

নেতানিয়াহু ছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্ট এবং সেনাপ্রধান হেজরি হালেভির বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। কিন্তু সদস্য না হয়েও তারা এখন পরোয়ানা ঠেকাতে কাজ করছে। কারণ যদি পরোয়ানা জারি হয় তাহলে এই আদালতের সদস্য দেশগুলোতে গেলেই নেতানিয়াহু বা অন্যান্য ইসরায়েলি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে।

এর আগে গত বছরের ১৭ মার্চ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে হেগের এই আদালত।

news24bd.tv/aa