যশোরে ৬ প্রার্থীর ভোট বর্জন

৬ প্রার্থীর ভোট বর্জন

যশোরে ৬ প্রার্থীর ভোট বর্জন

যশোর প্রতিনিধি

বিচ্ছিন্ন হামলা, অভিযোগ ও ছয় প্রার্থীর ভোট বর্জনের মধ্যে দিয়ে যশোরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরের পর চারটি আসনের ৬ প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বড় ধরণের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।

যশোরের ছয়টি আসনে শনিবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

এর মধ্যে হামলার শিকার হয়েছেন যশোর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

দুপুরের পর অনিয়ম ও কারচুরি অভিযোগ এনে যশোরের ছয়টি আসনের ছয় প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। ভোট কেন্দ্র দখল, ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধা, বোমা সন্ত্রাস, কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ এনে তারা এই ঘোষণা দেন।

এরা হলেন, যশোর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, যশোর-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহুরুল হক জহির ও এনপিপির প্রার্থী মুহম্মদ আলী জিন্নাহ এবং যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী কামরুল হাসান বারি ও ধানের শীষের প্রার্থী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস।

নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বর্জনের ঘোষণার পাশাপাশি তারা এই আসনগুলোতে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান।

যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে মফিকুল হাসান তৃপ্তি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আগের রাতেই সন্ত্রাসীরা ভোট কেটে ক্ষমতাসীন প্রার্থীর বাক্সে ভরেন। এ জন্য আজ তার কর্মী সমর্থক এবং ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। যারা যাওয়ার চেষ্টা করেছে তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মারধর করা হয়। বিএনপির কর্মী সমর্থকরা ভোট দিতে না পারায় তিনি ভোট প্রত্যাখ্যান করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুনরায় ভোট দাবি করেন।

একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন, যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী কামরুল হাসান বারি ও যশোর-৪ আসনে এনপিপির প্রার্থী মুহম্মদ আলী জিন্নাহ। এছাড়া বাকী তিনজনের পক্ষে তাদের নির্বাচনী এজেন্ট গণমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বর্জন করেন।

সার্বিক নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে যশোর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল আউয়াল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যশোরের ছয়টি সংসদীয় আসনে রক্তপাতহীন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদান করেছে।  

ছয় প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন কোনো খবর তাদের জানা নেই। প্রার্থীরাও তাদের এ ব্যাপারে কিছু জানাননি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/রিপন/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর