তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। বাতাসে যেন আগুনের ফুলকি। টানা এক মাস ধরে একের পর এক ভাঙছে অতীতের রেকর্ড। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিনে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। িআআবহাওয়া দপ্তর জানায়, ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। আর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯৭২ সালের ১৮ মে, ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাজশাহীতে। মঙ্গলবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, সবসময়ই এসব এলাকায় তাপমাত্রা বেশি আসে, বহু আগে থেকেই হয়ে আসছে। কারণ এই এলাকাগুলো ভারতের বিহার, পশ্চিমবঙ্গের পাশে। ওইসব এলাকায় ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠেছে গতকাল, সেটার আঁচ এসেই পড়ে এখানে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এবার গ্রীষ্মের শুরুতে এই এপ্রিল মাসে টানা যত দিন তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরে হয়নি। গত বছর (২০২৩) একটানা ১৬ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল। এবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে। মঙ্গলবারও তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ফলে টানা ৩০ দিন তাপপ্রবাহ দেখলো বাংলাদেশ। দেশের ইতিহাসে এমনটি আর কখনও হয়নি।
আবহাওয়াবিদ আজিজুর রহমান বলেন, এরকম তাপমাত্রা অবস্থা আরও কয়েকদিন চলবে। তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির আশেপাশে বা এর বেশিও হতে পারে। মে মাসের ২-৭ তারিখের ভেতরে তাপমাত্রা প্রশমিত হয়ে আসবে বৃষ্টির ফলে। এসময়ে পুরো বাংলাদেশেই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ২ মের আগে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, রোববার (২৮ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বশেষ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
news24bd.tv/তৌহিদ