ধর্মীয় অনুশাসনের ক্ষেত্রে কঠোরতা নিন্দনীয় নয়, তবে তা যথাস্থানে যথা সময়ে হওয়া আবশ্যক। ইসলাম স্থান-কাল বিবেচনা না করে ধর্মীয় অনুশাসনে কঠোরতা অনুমোদন করে না। যেমন কেউ যদি কোনো অমুসলিম দেশে বা মাতৃভূমি ছাড়া অন্য কোনো দেশে বসবাস করে, অথবা যে ব্যক্তি নতুন ইসলাম গ্রহণ করেছে বা যে অঞ্চলে ইসলামী শাসন কেবল প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এসব ব্যক্তির সঙ্গে ইসলাম সহজ-সাবলীল আচরণ করার নির্দেশ দেয়। বিশেষত অমেৌলিক ও বিরোধপূর্ণ বিষয়ে। এসব ব্যক্তিকে প্রথমে ইসলামের মেৌলিক বিষয় সেখান হবে। তারপর আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো তাদের সামনে তুলে ধরা হবে। প্রথমে তাদের আকিদা-বিশ্বাস ঠিক করতে হবে, এরপর ইসলামের রোকনগুলো (মেৌলিক ইবাদত), এরপর ঈমানের শাখা-প্রশাখাগুলো এবং সবশেষে ইসলামী শিষ্টাচার শিখবে তারা। রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন মুআজ (রা.)-কে ইয়ামেনে প্রেরণ করার সময় বলেন, তুমি আহলে...
দ্বীন পালনে বিনয়ের সৌন্দর্য

সকাল-সন্ধ্যার জীবনঘনিষ্ঠ কিছু দোয়া
শরিফ আহমাদ

জীবন মানেই সংগ্রাম। কখনো অর্থনৈতিক সংকট, কখনো শারীরিক অসুস্থতা, আবার কখনো মানসিক অবসাদ কিংবা পারিবারিক কলহ। এ অবস্থায় একজন মুসলমানের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়া । তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, তোমাদের রব বলেছেন- তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। (সুরা মুমিন, আয়াত : ৬০) দোয়া শুধু একটি আমল নয় বরং এটি একজন মুমিনের আত্মিক জীবনরেখা। রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়ার মাধ্যমেই জীবনের প্রতিটি কাজ শুরু করতেন এবং দোয়ার মাধ্যমেই সমাপ্ত করতেন। সকাল সন্ধ্যার জীবনঘনিষ্ঠ দোয়াগুলো যদি সবাই গুরুত্ব দিয়ে আমল করে তাহলে দৈনন্দিন জীবন হবে পরিশুদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত। এখানে নির্বাচিত কয়েকটি দোয়া উল্লেখ করা হলো। নিরাপত্তা লাভের দোয়া প্রতিটি দিন নতুন সম্ভাবনা এবং নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে।...
কেমন ছিল মহানবী (সা.)-এর হজ
আসআদ শাহীন

ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হলো হজ। এ একটি মহিমান্বিত ইবাদত, যেখানে বান্দা তার প্রভুর নিকট দাসত্বের পূর্ণ প্রকাশ ঘটায়। হজের প্রকৃত রূপ ও পদ্ধতি বোঝার জন্য আমাদের সামনে আদর্শ হয়ে আছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)। আল্লাহ তাআলা কোরআনে ইরশাদ করেছেন, তোমরা তাঁরই (রাসুলের) অনুসরণ করো। (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৯) আর এই অনুসরণ হজের ক্ষেত্রেও অপরিহার্য। নিম্নে মহানবী (সা.)-এর হজের পদ্ধতি ও কার্যাবলী কেমন ছিল তা তুলে ধরা হলো নবী করিম (সা.)-এর ইহরাম গ্রহণ এ হজ ছিল শুধু একটি ইবাদতের পরিপূর্ণতা নয়; বরং ছিল এক মহাপাঠ, এক জাগরণ, যেখানে মানবজীবনের শুদ্ধতা, তাওহিদের পরিপূর্ণতা এবং নববী শিক্ষার সর্বশেষ ও চূড়ান্ত বাস্তবায়ন প্রকাশ পেয়েছিল। এ হজের প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি নির্দেশ ছিল এক অনুপম পাথেয়, যার আলোতে যুগে যুগে উম্মত খুঁজে পেয়েছে পথের দিশা। এই মহিমান্বিত হজযাত্রার সূচনা হয়েছিল জিলকদ...
সোনালি যুগে মুসলমানদের নিক্ষেপযন্ত্রের ব্যবহার
আহমাদ আরিফুল ইসলাম

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ সভ্যতা, যা মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে ছুঁয়ে গেছে। আত্মরক্ষা ও যুদ্ধকৌশলেও ইসলাম এক যুগান্তকারী চেতনার জন্ম দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন: তোমরা তাদের মোকাবিলায় প্রস্তুত করো যতটুকু সম্ভব শক্তি...। (সুরা আনফাল, আয়াত : ৬০) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় নবীজি (সা.) স্পষ্ট করেন : জেনে রাখো, নিশ্চয়ই শক্তি হচ্ছে নিক্ষেপশক্তি। (মুসলিম, হাদিস : ১৯১৭) হাদিসটি এমন এক সামরিক দর্শন তুলে ধরে, যার ভিত্তি হলো দূরপাল্লায় আঘাত হানার সক্ষমতাযা আজকের ভাষায় ক্ষেপণাস্ত্র বা মিসাইল প্রযুক্তি। তাই মুসলমানরা মধ্যযুগে যুদ্ধকৌশল ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। বিশেষত নিক্ষেপযন্ত্র বা দূরপাল্লার হামলার যন্ত্র আবিষ্কার ও ব্যবহারে তারা যুগান্তকারী কিছু উদ্ভাবন করেছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মিনজানিক (Catapult) মিনজানিক ছিল মুসলিম বাহিনীর...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর