নাফ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালী রহমতেরবিল সীমান্ত এলাকা থেকে অপহরণের শিকার ১২ বাংলাদেশি জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরপর রাত ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অপহরণের শিকার টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকার আব্দুল জলিল নামের এক যুবক।
তিনি বলেন, ‘আরকান আর্মি আমাদেরকে নাফনদীর বাংলাদেশ অংশ থেকে ধরে নিয়ে গেছিল।
এর আগে, বুধবার সকাল ৮টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী রহমতেরবিল সীমান্তে নাফ নদী থেকে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আরাকান আর্মির সদস্যরাই আমাদের জেলেদের নিয়ে গিয়েছিল। কারণ রহমতেরবিল সীমান্তে মিয়ানমার অংশে এখন সে দেশের কোনো সরকারি বাহিনী নেই। যারা ছিল তারা সবাই সংঘাতের সময় পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছিল। এখন রহমতেরবিল সীমান্তের ওপারে মিয়ানমানের ওই এলাকাটি আরাকান আর্মির দখলেই আছে। ’
এছাড়া বিভিন্ন সূত্রে এম গফুর উদ্দিন খবর পেয়েছেন আরাকান আর্মিই জেলেদের নিয়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।
জেলেরা হলেন, পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জানে আলম (৩৫), মৃত আবদুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০), মৃত জালাল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৭) ও সাইফুল ইসলাম (৩০), মৃত আলী আহমদের ছেলে আয়ুবুল ইসলাম (৩০), আবু তাহেরের ছেলে শাহীন (২০), গৌজঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম (৫২), পুটিবনিয়া এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে ওসমান গণী (৩০), মৃত আবুল শামার ছেলে ওসমান (৩৫), আয়ুব ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম (৩৫), টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকার রোমান আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (৩২) ও দৈংগ্যাকাটা এলাকার হোসাইন আহমদ (৫৫)।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হোসেন বলেন, যেহেতু সীমান্ত এলাকা থেকেই অপহরণের শিকার হয়েছে তারা, তাই বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়েছে এবং তাদেরকে উদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।
আরাকান আর্মির নাম সরাসরি না বললেও তানভীর হোসেন বলেন, তিনিও শুনেছেন মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনই জেলেদের অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছিল। এ বিষয়ে বিজিবির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র: ইউএনবি
news24bd.tv/SHS