বিএনপি চেয়ারপারসেনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ক্ষমতায় থাকলে বড় কথা বলা যায়। ক্ষমতায় থাকলে গ্রেপ্তারও করা যায়। ক্ষমতায় থাকলে বিনা কারণে খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা যায়। কিন্তু জনগণ যখন রাস্তায় নেমে পড়বে তখন এসব কথায় কোনো কাজ হবে না।
আজ শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনটা পাস করে দিয়ে নীরবে বিদায় নেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির তো অস্তিত্বই নেই। বিএনপি নাকি টিকবে না, বিএনপি অসত্য কথা বলে। বিএনপি বাসে আগুন দেয় বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাই বিএনপি'র অস্তিত্ব থাকতে পারে না। এসব কথা আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখ থেকে ১৬টি বছর ধরে শুনে আসছি এবং এখনো শুনতে হচ্ছে।
ষড়যন্ত্র মূলত আওয়ামী লীগ করে এমন মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আপনারা যদি ষড়যন্ত্র না করতেন তাহলে ২০১৪ সালে কেন বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে গেলেন। কেন ২০১৮ সালে বিএনপির সঙ্গে অঙ্গীকার করার পরও দিনের ভোট রাতে করলেন। কেন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ভাই ভাই ডামি ভোট করলেন। এসব কথার উত্তর আপনাকে একদিন দিতে হবে।
জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, বিএনপি আপনাকে এবং আপনার দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় কারণ জনগণ চায় না আপনারা আর ক্ষমতায় থাকেন। কারণ জনগণ চায় না তিন টাকার কলা ১৪ টাকায় কিনুক। দ্রব্যমূলের এ ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আপনি বিরোধী দলের নেতাদের যেভাবে বিনা কারণে জেলখানায় রাখছেন, তাতে জনগণ মনে করে আপনার দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, আপনার আমলে অর্থনৈতিক কোনো কালেই চাঙ্গা হবে না। তাই জনগণ চাচ্ছে আপনি সরে যান। যার প্রমাণ জনগণ ৭ জানুয়ারির ভোটে দিয়েছে, কয়েক পার্সেন্টও ভোট পড়েনি।
news24bd.tv/SHS
