কুমিল্লার পর নড়াইলে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার দ্বিতীয় শ্রেণির শিশু

প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার পর নড়াইলে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার দ্বিতীয় শ্রেণির শিশু

নড়াইল প্রতিনিধি

কুমিল্লার শিশু ঝুমুর ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই নড়াইলে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হলো দ্বিতীয় শ্রেণির শিশু সুফিয়া। সুফিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মৃতদেহ নদীতে ফেলা দেয়া হয় বলে স্বজনদের অভিযোগ।

সুফিয়ার মরদহের ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত পাবার কথা স্বীকার করেছেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক। স্বজনরা এ নির্মমতার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়েছেন।

এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পেয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করলেও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (৩ মে) ময়নাতদন্ত শেষে সুফিয়ার লাশ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে বুঝে পাওয়া লাশ নিয়ে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স এদিন দুপুরে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনুপুর গ্রামে সুফিয়াদের বাড়ি পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়।

আদরের সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় সুফিয়ার বাবা আক্তার মুন্সি ও মা ইয়াসমিন বেগমের আর্তনাদ, আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, প্রতিদিনের মতো বুধবার (১ মে) সকালে ইটভাটা শ্রমিক বাবার জন্য ভাত নিয়ে নিজেদের গ্রামেরই সুপার ব্রিকস এ যায় ৯ বছরের শিশু সুফিয়া। বাবাকে ভাত পৌঁছে দিলেও সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরা হয়নি তার।

পরদিন সুফিয়ার গ্রামের ৩ কিলোমিটার দূরে ইসলামপুরে নবগঙ্গা নদী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ সেটি ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়। স্বজনদের অভিযোগ সুফিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা করে মৃতদেহ নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে।

আধুনিক সদর হাসপাতালে সুফিয়ার মৃতদেহের ময়না তদন্তকারী বোর্ড প্রধান ডাঃ শরীফ মোঃ হাসান ফেরদৌস ময়নাতদন্তে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না পেয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানান কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শামীম উদ্দিন।

news24bd.tv/SC