অর্থনীতির সামষ্টিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

অর্থনীতির সামষ্টিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

আমরা জানি যে একটা দেশের অর্থনীতির দুটি বিশেষ দিক আছে। একটা হলো সামষ্টিক অর্থনীতি। দেশের প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, ফরেন রিজার্ভ, বাণিজ্য ঘাটতি, বাণিজ্য হিসাব ও কর্মসংস্থান—এগুলোকে আমরা সামষ্টিক অর্থনীতির সূচক বলে থাকি। আরেকটা দিক হলো একেবারে মাইক্রো—যেটা সাধারণত একেবারে ব্যক্তি পর্যায়ে—যেটাকে আমরা মাইক্রো ইউনিট বলি।

তার মানে যেকোনো নীতি, যেকোনো কৌশলে আমরা যে ফলাফলটা দেখতে পাই, সাধারণত আমরা অ্যাসেস করি, মূল্যায়ন করি—ব্যবসা, ব্যক্তি এবং পরিবার, বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর এটার কী প্রভাব পড়ে। আমাদের পারিবারিক জীবন, সাংসারিক জীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনে কী প্রভাব পড়ে। সুতরাং এটাকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করি। একটা ম্যাক্রো পলিসি, আরেকটা হলো মাইক্রো ইমপ্যাক্ট বা মাইক্রো পলিসি।

মাঝখানে একটা আছে, ম্যাসো বলি আমরা। ম্যাসো পলিসি মানে মধ্যবর্তী কতগুলো স্তর আছে; সেটা যেমন বাজার, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান—এগুলো আমাদের মধ্যবর্তী পর্যায়, যার মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনীতি বা কৌশলগুলো বাস্তবায়িত হয় এবং যার ইমপ্যাক্ট বা ফলাফলটা পড়ে একেবারে নিচের দিকে। যেকোনো জিনিসের মূল বিষয়টা হলো, মানুষ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর কী প্রভাব পড়ে, সেটা দেখা।
https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/05.May/04-05-2024/2/kalerkantho-ed-1a.jpgএই নিবন্ধে যেটা আমি আলাপ করব, সেটা হলো আমাদের দুটি ম্যাক্রো পলিসি—একটা হলো রাজস্বনীতি, আরেকটা হলো মুদ্রানীতি।

কিভাবে এই দুটির সমন্বয় সাধন হয় এবং এই দুটির সমন্বয় সাধন না করলে কিন্তু দেশের সার্বিক অর্থনীতি উন্নয়ন যেখানে শুধু প্রবৃদ্ধি নয়, ফরেন রিজার্ভও নয়; সঙ্গে সঙ্গে আয় এবং সম্পদের বৈষম্য দূর করতে পারব, মানুষের জীবনযাত্রার মান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যাতায়াত ব্যবস্থা কিভাবে উন্নত করব, সেগুলোর সুফলটা আমরা দেখতে পারব। আমরা যদি শুধু গ্রোথ নিয়ে আলাপ করি, প্রবৃদ্ধি ভালো হচ্ছে, এটার সুফলটা অন্যদের কাছে পৌঁছায় কি না, যদি আমরা মাইক্রো লেভেলে; একেবারে ব্যক্তি পর্যায়ে, পরিবার পর্যায়ে এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে যদি আমরা না দেখি, সেটা কিন্তু ধরা পড়বে না। এটা নির্ভর করে মূলনীতি, মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির সমন্বয় সাধনের ওপর।  বাজেট আসবে কিছুদিনের মধ্যেই। বাজেটে দুটি দিক আছে।

একটা সরকারি আয় এবং সরকারি ব্যয়। রাজস্ব আয়-ব্যয় যেটা করব, সেটা দেশের সার্বিক উন্নতি এবং মানুষের উন্নয়ন, মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন, মানুষের বিভিন্ন চাহিদা কিভাবে আমরা পূরণ করতে পারি, সেটা আমাদের দেখতে হবে। সেটা একটা মূল লক্ষ্য।

আরেকটা জিনিস হলো বরাদ্দ। আমরা কোন খাতে  কত ব্যয় করব, সেটা আমাদের দেখতে হবে। অতএব এই দুটি যদি আমরা সঠিকভাবে না দেখি, তাহলে বাজেটের যে লক্ষ্য, সেটা ফলপ্রসূ হবে না।

আমাদের সামনে কিন্তু কতগুলো চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। একটা হলো, বাজেটের যে রাজস্ব আমরা আহরণ করব—ট্যাক্স এবং নানা রকম মাধ্যমে কতটুকু সফলতার সঙ্গে তা করা যাবে, সেটা বড় একটা ব্যাপার। আর দ্বিতীয়ত রাজস্ব বাজেটে আমাদের ঘাটতি হয়। আমরা সম্পদ কোত্থেকে পাব, কিভাবে আহরণ করব। একটা হলো দেশীয় সম্পদ—আমাদের সঞ্চয় এবং নানা রকম ব্যবসা থেকে। আরেকটা হলো দেশের বাইরে থেকে ঋণ গ্রহণ। মানে বৈদেশিক সম্পদ—এই দুটি জিনিস। এটা যদি আমরা মুদ্রানীতিতে মানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক ব্যাংকগুলো কিভাবে অভ্যন্তরীণ ঋণ দিচ্ছে, তারপর অভ্যন্তরীণভাবে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার করছে। মুদ্রানীতি যদি ব্যবসা-বাণিজ্য সহায়ক না হয়, মুদ্রানীতি যদি সফলতা লাভ না করে, যেমন—মুদ্রানীতির একটা দিক হলো ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার করা, কর্মসংস্থান করা। সেটা যদি আমরা না করি, এদিকে রাজস্ব বাজেটে ইনকাম ট্যাক্স ধরবে, ভ্যাট ধরবে, সেটার কিন্তু রাজস্বটা আদায় করতে পারবে না। সেটা কিন্তু আমরা বারবার দেখতে পাচ্ছি। বাজেটটা সাধারণত সম্প্রসারণশীল হয়। আমাদের কিছু কাজ হবে, আমাদের চাহিদা অনেক, সম্পদ অনেক বেশি লাগে।

মুদ্রানীতি যদি আমরা সংকোচনশীল করি, যেটা এবার করেছে, তাতে মানি সাপ্লাই কমাবে। মানি সাপ্লাই কমানোর মূল উদ্দেশ্য হলো, মূল্যস্ফীতিটা কমানো। মূল্যস্ফীতি কিন্তু কমানো যাচ্ছে না। আমরা সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি করে ফেলছি, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে না। এখন দেখা যাচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য মন্থর হয়ে গেছে। এমনকি গ্রোথ নাকি এবার তিন-চারের বেশি হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওদিকে আবার মুদ্রানীতি আমদানি সংকোচন করছে। আমদানি না হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে না। ইমপোর্ট ডিউটি কমে গেলে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমে যাবে।

অতএব দুটির সঙ্গে দুটির সামঞ্জস্য না থাকলে কিন্তু এই সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে। এই দুটির সামঞ্জস্য কিন্তু আমরা এখনো দেখি না। প্রায় আমরা বলি যে দুটির সমন্বয় সাধন না করে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক একদিকে বলল, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করবে, ফরেন রিজার্ভ বাড়াবে, আর ওই দিকে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে। ব্যবসার প্রসার হচ্ছে না। কর্মসংস্থান কম হচ্ছে। তখন হচ্ছে কী, গ্রোথ হচ্ছে না। ফরেন রিজার্ভ বাড়ছে না। মানুষের জীবনযাত্রার মানও বাড়ছে না। আমি বলব যে এটা অনেকটা ভ্রান্ত নীতি এবং ভ্রান্ত কৌশল। এ জন্য বারবার কিন্তু বলা হচ্ছে যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। এই সমন্বয় সাধন করার জন্য একটা মনিটারি পলিসি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল আছে। যেমন ধরা যাক, আমাদের মনিটারি পলিসিতে কী থাকে—একটা টার্গেট বা লক্ষ্য থাকে। লক্ষ্য কী—বেসরকারি ঋণ কত হবে, সরকারি ঋণ কত হবে। সুদের হার কত হবে। পলিসি রেট কত হবে। রিফিন্যান্সিং কিভাবে করব। লিকুইডিটি সাপোর্ট কিভাবে দেব—কতগুলো পলিসি রেট, কতগুলো টার্গেট থাকে। কিন্তু টার্গেটে অ্যাচিভ করতে হলে দেখতে হবে, আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা আছে কি না। আমাদের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সেভাবে কাজ করছে কি না। বাংলাদেশ ব্যাংকের যে রেগুলেটরি নিয়মগুলো আছে, সেগুলো পরিপালন করা হয় কি না। সবেচয়ে বড় হলো, মনিটরিং—পরিবীক্ষণ এবং সুপারভিশন। সেটা করা হচ্ছে কি না।

আমরা দেখছি যে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। মুদ্রানীতি আমাদের যা দিচ্ছে, সেটা সম্পূর্ণ নয়; আংশিক—কতগুলো টার্গেট ওরিয়েন্টেড। টার্গেট অ্যাচিভ করলেই ভালো হয়ে যাবে, টার্গেট অ্যাচিভ না করলে খারাপ হয়ে যাবে, সেটা তো নয়। আরো বিস্তারিতভাবে আমাদের উদ্দেশ্যগুলো, যেটা আমি বললাম যে প্রবৃদ্ধি বাড়বে, কর্মসংস্থান বাড়বে, মূল্যস্ফীতি কমবে, মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়বে—সেগুলো বাজেটেরও একই উদ্দেশ্য। মুদ্রানীতির একই উদ্দেশ্য। কিছুটা ভিন্ন কৌশলে তারা এগোয়। ব্যাপারটা হলো বাজেট সার্বিকভাবে সমস্ত অর্থনীতির ওপর সরকারের রাজস্ব আয়-ব্যয়ের যারা হিসাব করে, পরিচালন করে। আর ওই দিকে মুদ্রানীতি হলো, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা সরবরাহ, মুদ্রার মান, ফরেন এক্সচেঞ্জের মান, ফরেন রেট—এগুলোর মাধ্যমে করে। উদ্দেশ্য কিন্তু দুটিরই এক। অতএব এই কো-অর্ডিনেশনটা হচ্ছে না বলে আমার মনে হচ্ছে, আমাদের ম্যাক্রো পলিসি বা সামষ্টিক নীতিগুলোর যথাযথ ফলাফল আমরা পাচ্ছি না।

সরকারের বাজেট প্রাইভেট সেক্টরে অ্যাফেক্ট করে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবাইকে অ্যাফেক্ট করে। অতএব যেটা আমরা বলি যে বাজেট রাষ্ট্র, মার্কেট, বাজার, প্রাইভেট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং এমনকি ব্যক্তিগত সবাইকে অ্যাফেক্ট করে। বাজেটের ব্যাপারটা অনেকাংশে প্রত্যক্ষ। অন্যদিকে মুদ্রানীতিটা সাধারণত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক এদের মাধ্যমে কার্যকর করে। সেটার ব্যাপকতা আছে। কিন্তু এটা প্রত্যক্ষের চেয়ে পরোক্ষভাবে বেশি কাজ করে। দুটিরই আমাদের দরকার আছে।

বর্তমান পর্যায়ে আমরা দেখছি দুটি জিনিস। একটা হলো রিসোর্স মোবিলাইজেশন—এই যে বাজেটে এখন হয়তো ভ্যাট বাড়াবে, ইনকাম ট্যাক্স বাড়াবে। আইএমএফ এখন বলছে, সব রকম প্রণোদনা বাদ দাও, ট্যাক্স বসানোর বিষয়ে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া বন্ধ করো, ট্যাক্সের ছাড় কমিয়ে দাও। সেটা করলে আবার দেখা যাবে যে কিছু ইন্ডাস্ট্রিতে, কিছু সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অতএব আইএমএফের কথায় আমরা সব ছাড় কমিয়ে দিলাম, আবার হয়তো বলবে কৃষি খাতে সারের ওপর ভর্তুকি, সেচের ওপর ভর্তুকি মানে সেচের জন্য ডিজেলের ওপর ভর্তুকি—সব কমিয়ে দাও। কৃষকরা কিভাবে ব্যয় সংকোচন করবে। কৃষকরা এমনিতেই শস্যের মূল্য পায় না। তখন তো আরো বিপদ হবে। তখন তো তারা উৎসাহটা হারিয়ে ফেলবে। তখন খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়বে। বাজেটে এই জিনিসগুলো নিয়ে চিন্তা করার সময় এখন। প্রণোদনা কাকে দেবে না দেবে, সেগুলো আরো বেশি করে ভাবতে হবে।  

আরেকটা জিনিস হলো ট্যাক্সের ইকুইটি বা সমতা। যারা বড়লোক, তারা কি ট্যাক্স সমভাবে দিচ্ছে। নিশ্চয় না। আমরা দেখি, প্রত্যক্ষ কর আমাদের কম। পরোক্ষ করের বোঝা বেশি। ভ্যাটের একটা সমস্যা হলো, ভ্যাট গরিব-ধনী সবাইকে সমানভাবে আঘাত করে। যেমন—পাউরুটির ওপর ভ্যাট দিল। বড়লোক পাউরুটি কিনে যত টাকা ট্যাক্স দিচ্ছে, গরিব কিনেও তা দিচ্ছে বা যেকোনো একটা সেবার ওপর যে ভ্যাট, সেটা ধনীও বহন করে, গরিবও। অতএব পরোক্ষ করের ওপর যে আমাদের এত নির্ভরতা, এটা মোটেও ঠিক হচ্ছে না। অনেক সময় হয় কি, সরকার একটা সহজ উপায়ে আদায় করতে পারে।

প্রত্যক্ষ কর আরোপ করতে অনেক অ্যাসেস করতে হয়। যারা ধনী, তাদের বেশি হারে, মানে ক্রমবর্ধমান হারে কর দিতে হয়। সেটা বাংলাদেশে এখন নেই। এটা বিশেষ করে নর্থ ইউরোপে—নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক—সেখানে করের হার অত্যন্ত বেশি, সেটা প্রত্যক্ষ করের হার। তাদেরটা কল্যাণমুখী একটা রাষ্ট্র। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ট্রান্সপোর্টে ধনী-দরিদ্র সবাই সুবিধা পায়। সেখানে বেকার, চাকরি গেলে খাবার খেতে পারবে না, বাসস্থানের অভাব হবে—এত চিন্তা করতে হয় না। কারণ সরকার এগুলোর দায়িত্ব নেয়। সরকার জনগণের টাকায় এগুলো করে। আমাদের এখানে জনগণ টাকা দেয় না, ট্যাক্স দেয় না, সরকারের কাছে যথেষ্ট অর্থ থাকে না। তখন সরকারের সীমিত আকারে দরিদ্র ব্যক্তিদের সেবা দিতে হয়।

আরেকটা জিনিস বলে আমি শেষ করি, শুধু মবিলাইজ করলেই হবে না; অপচয় রোধ করতে হবে। ব্যবহারটা সঠিকভাবে করতে হবে। বাংলাদেশে দেখা যায়, বহু সরকারি অর্থ বণ্টন করা হয়, এটার অপচয় হয়। বহু অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যায়—এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওখানে এফিসিয়েন্সি, বাজেটের দক্ষতা, জবাবদিহি, স্বচ্ছতা আনতে হবে। বাস্তবায়নের সময় এই জিনিসটা লক্ষ না করলে বাজেট ইতিবাচক ফল দেবে না।

অন্যদিকে মুদ্রানীতিতেও স্বচ্ছতা, জবাবদিহি লাগবে। মুদ্রানীতির যে ডিরেকশনগুলো দেওয়া হচ্ছে ব্যাংকে, সেগুলো পরিপালন করতে হবে। কোথাও দেখা যাচ্ছে ঋণ নিয়ে ঋণখেলাপি করছে। ঋণ ফেরত দিচ্ছে না। অন্যদিকে ছোট, মাঝারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি পর্যায়ে ছোট ছোট ব্যবসা—এরা সাফার করছে। এটাতে আবার দেখি, এমি কোয়ালিটি—আমি বলব যে অসমতা মানে এটার একটা লক্ষ্য। বাজেটেও আমাদের ইকুইটি প্রিন্সিপাল ফলো করে না, ন্যায্যতা এবং সমতা নিশ্চিত করে না। এগুলো না করলে সাধারণভাবে সার্বিক উন্নয়ন, জনগণের কল্যাণে উন্নয়ন করা এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জন মোটেও সম্ভব হবে না।

লেখক: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

news24bd.tv/আইএএম