বাংলাদেশ লাগোয়া রাখাইনের পুরো সীমান্ত আরাকান আর্মির ‘দখলে’

আরাকান আর্মি

বাংলাদেশ লাগোয়া রাখাইনের পুরো সীমান্ত আরাকান আর্মির ‘দখলে’

নাহিদ হোসেন

বাংলাদেশ লাগোয়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পুরো সীমান্ত দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। নিউজ টোয়েন্টিফোরের কাছে এ দাবি করেছেন সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনটির মুখপাত্র ইউ খাইন তু খা। প্রথমবারের মতো দেশের কোনো গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। আলাপচারিতায় তিনি বলেন, সীমান্তে মাদক পাচার রোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আরকান আর্মি।

এ জন্য প্রয়োজন বাংলাদেশের সহযোগিতা। জোর করে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রশ্নে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ভবিষ্যতে আরাকানের সব নাগরিকদের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আরাকান আর্মি।  

‘অপারেশন ওয়ান জিরো টু সেভেন’ গত বছরের অক্টোবর থেকে এই অভিযান শুরুর পর থেকে উত্তাল মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য। মিয়ানমার জান্তার হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিতে প্রাণপণ লড়াই করছে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি।

হালে যুদ্ধের ডামাডোল খানিকটা কমেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও বলছে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে জান্তা বাহিনী। আরাকানের অর্ধেকের বেশি টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি। আরাকান আর্মির মুখপাত্র ইউ খাইন তু খা প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যুদ্ধের হাল হকিকত।

আরাকান আর্মির মুখপাত্র ইউ খাইন তু খা বলেন, আরাকানে যুদ্ধ চলছে। বিশেষ করে বুথিডং, মংডু, আন ও তান্দোয়ে টাউনশিপে। এই মুহূর্তে আমরা ৯টি টাউনশিপের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। যেমন চাওক্ত, ম্রাও, মেব্র্রা, মেবুন, রামরি, পাউডু, পুন্যাজ্ঞা, রাথিডং এবং পালওয়া টাউনশিপ।  

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা ইয়াবা, আইসের মতো মাদকের দেদার পাচার। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্তের পুরোটাই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে দাবি করে মুখপাত্র বলেন, মাদক পাচার রোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা। তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা সবসময় জিরো টলারেন্স। আমরা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর নাফ নদীসহ বহু এলাকা দিয়ে মাদক পাচার রোধ করেছি। তবে পাচার পুরোপুরি বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা দরকার।  

মুখপাত্র আরও বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে লাগায়ো ট্রাইজংশন (তিনমুখ) এলাকা থেকে শুরু করে মংডুর কাছ পর্যন্ত পুরোপুরি এলাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণে। আমরা আমাদের অস্তিত্বের জন্য ও রাখাইনের জন্য লড়াই করছি। আমরা এখানে স্বাধীনতা, সমতা, ন্যায়বিচার ও শান্তি চাই। আরাকানের সব নাগরিকের জন্য কাজ করছি আমরা।  

খাইন তু খা জানান, নিজেদের লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ লড়াই চালিয়ে যাবে আরাকান আর্মি।
news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক