বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে একহাত নিলেন উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে একহাত নিলেন উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার যথেষ্ট সুযোগ দেয়া সত্ত্বেও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত গবেষণা নেই। এমনকি আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নেই তথ্যপ্রযুক্তির বিশেষায়িত কোনো বিভাগও। এসব নিয়ে রোববার (৫ মে) এক অনুষ্ঠানে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ  বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য বিনিয়োগ পরিস্থিতি শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

দেশে বেকারত্ব আছে বলে বিশ্বাস করেন না, এমন মন্তব্য করে সালমান এফ. রহমান বলেন, 'কোনো ধরনের ক্যারিয়ার প্ল্যান না করেই সবাই গ্রাজুয়েট হয়ে যায়। এরপর তাদের চাকরি দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। অথচ দেশে প্রশিক্ষিত সনদপ্রাপ্ত ইলেক্ট্রিশিয়ানের অভাব। এমনকি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রশিক্ষণ নিয়েও কেউ বেকার নেই।

ফলে আগে মানসিকতা পরিবর্তন করা দরকার। '

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হিসেবে তৎকালীন উপাচার্যপুত্রের বন্ধু হওয়ায় সে বাসায় আড্ডা দেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপাচার্যের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যার যার দেশের কোটা বাড়ানোর জন্য তদবির করতো। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোথায় চলে গেছে আর আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কি হাল হয়েছে। অথচ সরকার যথেষ্ট সুযোগ, উৎসাহ ও প্রণোদনা দিয়েছিলো। '

অনুষ্ঠানে সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, 'দেশের ১৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিতেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে একটি বিভাগ নেই। এমনকি মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ছাড়া আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক বিভাগ। ফলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২ বিলিয়ন রপ্তানিতে খুশি হলেও সন্তুষ্ট নই। আর এজন্য আমি দায় দিবো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে। '

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এবং প্রতিমন্ত্রী উভয়েই তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে করমুক্ত করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

news24bd.tv/SC