পরিবেশের কোনো তোয়াক্কা না করেই মরা গাছের অজুহাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়কের ধারে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের-বিএমডিএ’র লাগানো বিশাল আকারের ২৫৮টি তাজা গাছ নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিক্রির পর কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে।
রোপণকারী সংস্থাকে না জানিয়েই টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ নিয়ে দুই সংস্থার মধ্যে চলছে চিঠি চালাচালি। এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে বিপুল সংখ্যক গাছ কেটে ফেলার সমালোচনা করেছেন স্থানীয়রা।
পরিবেশের সুরক্ষায় গাছ কাটা বন্ধেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা-কেন্দুল সড়কের দুধারের ২৫৮টি গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করেছে জেলা পরিষদ। কিন্তু গাছগুলো নিজেদের দাবি করে কাটা বন্ধ রাখতে জেলা পরিষদকে চিঠি দেয় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিএমডিএ।
এ নিয়ে জেলা পরিষদ ও বিএমডিএ’র মধ্যে চলছে স্নায়ুযুদ্ধ।
এদিকে স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় যখন পুড়ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, তখন একসঙ্গে এতগুলো গাছ কেটে ফেলার সমালোচনা করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, গাছগুলো কেটে নেয়ার কারণে এ অঞ্চলের জৈববৈচিত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাই এখনি কাছ কাটা বন্ধ করার দাবি জানান তারা।
এই প্রসঙ্গে বিএমডিএ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আল মামুনুর রশিদ জানান, ২০২১ সালে বিএমডিএ’র সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি মানছে না জেলা পরিষদ। ওই চুক্তিতে ভূমির মালিক জেলা পরিষদ হলেও গাছের মালিক বিএমডিএ এবং গাছের হিস্যা উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন বলেন, ভূমির মালিক যেহেতু জেলা পরিষদ, তাই গাছের মালিকও জেলা পরিষদ এবং নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রায় ২৬ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে গাছগুলো। তবে গাছের মালিকানার যথাযথ প্রমাণ দিতে পারলে বিএমডিএকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।