মন্ত্রীর সহকারীর বাড়িতে টাকার পাহাড়!

মন্ত্রীর সহকারীর বাড়িতে টাকার পাহাড়!

মন্ত্রীর সহকারীর বাড়িতে টাকার পাহাড়!

অনলাইন ডেস্ক

ঝাড়খন্ডের রুরাল ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র রামকে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তখন তার বিরুদ্ধে ১০ হাজার রুপি (প্রায় ১৩ হাজার টাকা) ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ছিল। সেই তদন্তে সম্প্রতি বেরিয়ে এল নগদ ৩৫ কোটি রুপি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বীরেন্দ্র রামকে গ্রেপ্তারের সময় ইডির কর্মকর্তারা ভাবতেই পারেননি এই ১০ হাজার রুপির ঘুষ বের করে নিয়ে আসবে ৩৫ কোটি রুপি।

ঝাড়খন্ডের আমলাদের মধ্যে বীরেন্দ্র রামের প্রভাব তেমন একটা নেই। এ কারণে তিনি ঘুষের অর্থ এত বেশি পান না। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুরো ঘুষ ও দুর্নীতির চক্রের তথ্য দিয়ে দেন তিনি। সরকারি বিভিন্ন কাজের টেন্ডারের সময় অনেক চ্যানেল থেকে আসে অর্থ।

তা ভাগ করে নেয় চক্রটি।  

বীরেন্দ্র রামের কাছ থেকে এসব তথ্য জানার পর কাজে নেমে পড়ে ইডি। রুরাল ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। রাঁচির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৫ কোটি রূপি নগদ অর্থ উদ্ধার করে ইডি।

এর মধ্যে গ্রামোন্নয়ন (রুরাল ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টে) মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের গৃহ সহকারীর বাড়ি থেকে ২০ কোটি রূপি উদ্ধার করা হয়।

অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের অধীনে সোমবার এই অভিযান চালায় ইডি। অভিযানের একপর্যায়ে ঝাড়খন্ডের গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের গৃহ সহকারীর বাড়িতে হানা দেওয়া হয়।  

এসময় ওই সহকারীর বাড়ির একটি কক্ষে টাকার পাহাড়ের দেখা মেলে। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কংগ্রেস নেতা আলমগীর আলম ঝাড়খন্ডের পাকুড় আসনের বিধায়ক।  

এ ঘটনার এক প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যে দুর্নীতির শেষ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঝাড়খণ্ড বিজেপির মুখপাত্র প্রতুল শাহদেব। লোকসভা নির্বাচনের সময়ে এই অভিযান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন বিরোধীদের কেউ কেউ।

news24bd.tv/aa