‘যুবককে নদীতে ফেলে দিল বিএসএফ’, পরে ৫ ঘণ্টা নাটকীয়তা

সুজন আলী

‘যুবককে নদীতে ফেলে দিল বিএসএফ’, পরে ৫ ঘণ্টা নাটকীয়তা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমতলা কাজীপাড়া সীমান্ত পেরিয়ে করোতোয়া নদী পার হয়ে কাজের খোঁজে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর এলাকার সুজন আলী। এ সময় ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর (বিএসএফ) মুখে পড়েন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই ভারতে প্রবেশে বাধা দেয় বিএসএফ। বিএসএফ তাকে নামিয়ে দেয় করতোয়া নদীতে।

 

নদী পার হয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির মুখোমুখি হয় সুজন। বিজিবিও তাকে বাংলাদেশে নিতে নারাজ। চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নাটকীয়তা। মঙ্গলবার (৭ মে) নদীর মঝখানের নোম্যান্সল্যান্ডে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সুজনকে।

বিকেলে ডাকা হয় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ সময় তিনি জানান, তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরে। একপর্যায়ে বিজিবি তাকে সেখান থেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা লতিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দেখলাম বিএসএফ ওই ব্যক্তিকে ঠেলে নদীতে ফেলে দিল। আমরা মনে করেছি, ভারত থেকে বাংলাদেশে লোক ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরে তাকে আমরা ও বিজিবি ঢুকতে দিইনি। তার কাছে বাংলাদেশি একশ’ টাকার নোট, ভারতীয় খৈনির একটি প্যাকেট ও গাঁজা পাওয়া যায়। দীর্ঘ সময় সে নদীর মাঝখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। তাকে দেখতে মানুষ ভিড় করে। ’

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়েনের অধিনায়ক লে. কর্নেল যুবায়েদ হাসান বলেন, ‘ওই ব্যক্তি পঞ্চগড়ে কিছুদিন কাজ করেছে। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। সেখানকার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামও বলতে পারছে। সে হয়তো মাদকাসক্ত। কারো পরামর্শে সে কাজের খোঁজে ভারতের প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তাকে এখন আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছি। ’

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক