মোংলা বন্দরে আমদানি হওয়া জরুরি স্বাস্থ্য সেবার অ্যাম্বুলেন্স কাস্টমস হাউজের শুল্ক জটিলতায় ছাড় হচ্ছে না। এ কারণে মোংলা বন্দরে পড়ে আছে ২০টি অ্যাম্বুলেন্স। সেগুলো বের করতে পারছে না বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বারবিডা)।
মোংলা কাস্টমস হাউজ বিভিন্ন জটিলতা দেখিয়ে এসব গাড়ির শুল্কায়ন করছেন না।
এজন্য আমদানি করা অ্যাম্বুলেন্সের ওপর ১৭ গুন শুল্ক জরিমানা দিয়ে খালাস করানোর জন্য চাপ দিচ্ছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।বারবিডার নেতার বলছেন, ৫টি শর্ত পূরণ করে মোংলা বন্দরে অ্যাম্বুলেন্স আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া বিআরটিএ'তে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের পর সর্বোচ্চ ১২০দিনের মধ্যে শর্তানুযায়ী রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত দলিলাদি সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউজে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মোংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন জটিলতার অযুহাত দেখিয়ে আমদানি হওয়া অ্যাম্বুলেন্স গাড়ি ছাড় করছেন না।
বারবিডা সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, অগ্রিম টাকা পরিশোধ করার পরও সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। নানা সমস্যার ফাঁদে মোংলা কাস্টমসে আটকা পড়ে রয়েছে ২০টি অ্যাম্বুলেন্স। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসব অ্যাম্বুলেন্সকে মাইক্রোবাস হিসেবে খালাস করে নেওয়ার জন্য তাদেরকে চাপ দিয়ে আসছে। ফলে আমদানিকারকদের গুণতে হবে নির্ধারিতের তুলনায় অনেক বেশি শুল্ক।
কাস্টমস ট্যারিফের স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, আমদানি করা যাবে নতুন অ্যাম্বুলেন্স ও অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে রূপান্তরিত রিকন্ডিশন গাড়ি। অর্থাৎ কোনো বাঁধা নেই প্রচলিত বিধি-বিধানে। শুধু তাই নয় অ্যাম্বুলেন্স আমদানিতে বিশেষ সুবিধাও দিয়ে আসছে সরকার।
এ বিষয়ে মোংলা কাস্টম হাউজের কমিশনার এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, সম্প্রতি অ্যাম্বুলেন্স আমদানির ঘোষণায় এমন কিছু গাড়ি আনা হয়েছে যেগুলো পরবর্তীতে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি। এর মধ্যে নোহা এবং ভক্সি মডেলের গাড়ি রয়েছে। সে বিষয়ে কাস্টমস এবং সরকারের দুইটি সংস্থা তদন্ত করছে। তদন্তে প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত না হলে আমদানি হওয়া অ্যাম্বুলেন্স গাড়ি ছাড় দেওয়া হবে।
news24bd.tv/তৌহিদ