৪ শহর ও ৮০ সেনা ঘাঁটির দখল হারালো জান্তা

৪ শহর ও ৮০ সেনা ঘাঁটির দখল হারালো জান্তা

৪ শহর ও ৮০ সেনা ঘাঁটির দখল হারালো জান্তা

অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের ৪টি শহর এবং ৮০টির বেশি সামরিক ঘাঁটি দখল করেছে কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি। দুই মাসের জান্তা-বিরোধী অভিযানে এসব শহর ও ঘাঁটি দখল করে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। এতে শহর ও ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়েছে সেনারা। অভ্যুত্থানের পর থেকে এপর্যন্ত ৩০ হাজার সেনা হারিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।

২০২১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।  

সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই সামরিক বাহিনীকে প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে বেসামরিক বিদ্রোহীরা। রাখাইন, কাচিন, চিনসহ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীও। সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার তিন বছর পর বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।

 

৭ মার্চ থেকে মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে হামলা জোরদার করেছে কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি। দুই মাসের চেষ্টায় ৪টি শহর এবং ৮০টির বেশি সামরিক ঘাঁটি দখল করেছে তারা।

দখলকৃত শহরগুলো হলো- ডথপোনিয়ান, লুয়েগেল, সিনবো ও সামপ্রাবম। শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মিকে সহায়তা করেছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স ও আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। এতে শহর ও ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় সেনারা। এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে জান্তাদের হটিয়ে একটি শহর দখল করে কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি।

গত অক্টোবরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সামরিক টহল চৌকি, অস্ত্রাগার ও বেশ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বিদ্রোহীদের হাতে। শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশি আরও দুটি দেশ চীন ও ভারতেও পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের সেনারা।

এছাড়া অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত জান্তা সরকার ৩০ হাজারের মতো সেনা হারিয়েছে বলে তথ্য মিলেছে। এতে সংকট দেখা দেওয়ায় বাধ্যতামূলক সদস্য নিয়োগ দিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তরুণ থেকে শুরু করে অবসর নেওয়াদেরও পাঠানো হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে।

news24bd.tv/aa