কর্মী সভায় নিজেরাই মারামারি করে ৩ জনের মাথা ফাটালো ছাত্রলীগ

কর্মী সভায় নিজেরাই মারামারি করে ৩ জনের মাথা ফাটালো ছাত্রলীগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্রলীগের কর্মী সভা চলাকালে দুই সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে মাথা ফেটে তিন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত আহত হয়েছে।  

আজ শুক্রবার (১০ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার সংলগ্ন সমবায় মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারামারিতে আহতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

 

আহতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া আইডিয়েল হাই একাডেমীর ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী একই এলাকার খন্দকার বিপুলের ছেলে খন্দকার নূর, একই এলাকার বাসিন্দা শাকিল মিয়ার ছেলে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নীরব এবং আরেকটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজীপাড়ার শামসুল আলমের ছেলে সাদাফ। তাদের সবাইকে তাৎক্ষণিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়।  

জরুর বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল বলেন, আহত তিনজনের মধ্যে খন্দকার নূরের মাথায় পাঁচটি এবং নীরবের মাথায় তিনটি সেলাই লেগেছে। আহত সাদাফের সেলাই লাগেনি, তাকে কেবল ব্যান্ডেজ দেওয়া হয়েছে।

তবে তিনজনই এখন শঙ্কামুক্ত বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত কর্মী সভার শেষ পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন সড়কের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সেখানে থাকা চায়ের দোকানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (১) মো. মহসীন মোল্লার সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন আফ্রিদির অনুসারিরা। এরপর লাঠিসোঁটা, ছুরি-চাকু ও বেল্ট হাতে একদল কিশোর-যুবক মহসীন মোল্লার কতিপয় সমর্থককে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে মঠের গোড়া ও পৌরসভার দিক থেকে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক জানান, 'দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে দুদিক থেকে পুলিশ এসে তাদেরকে নিবৃত্ত করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে উভয় পক্ষের লোকজনই ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। '

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহসীন মোল্লা বলেন, 'সামান্য বিষয় নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। অথচ দক্ষিণ পৈরতলার ছেলেরা আমার অনুসারী ছেলেদেরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করেছে। আহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। '

রুহুল আমীন আফ্রিদির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলায়। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে আফ্রিদি বলেন, 'আমার কয়েকজন ছোট ভাই ঘটনাস্থলে ছিল। মূলত উত্তর পৈরতলার একদল ছেলের সঙ্গে কাজীপাড়ার ছেলেদের ঝামেলা হয়েছে। আমার সমর্থকরা তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে। ' 

news24bd.tv/SHS

এই রকম আরও টপিক