সরকারের উদ্যোগ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশে গরিব থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

সরকারের উদ্যোগ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশে গরিব থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

দরিদ্রদের সচ্ছল করার উদ্দেশ্য নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপহার হিসেবে রিপার মেশিন, সার, রিকশা-ভ্যান, সেলাই মেশিন ও আর্থিক অনুদানসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১০ মে) সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়াকুল আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী রিপার মেশিন, সার, ল্যাপটপ, ১০টি সাইকেল, ১০টি রিকশা-ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন, ৩৮ জনকে ৪০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান, ১০ জোড়া কবুতর এবং ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা।

দেশের সবাই যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা বহুমাত্রিক কর্মসূচি হাতে নিয়ে প্রত্যেক মানুষকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ’

আজ শুক্রবার (১০ মে) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়ারকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্তভাবে বহুমাত্রিক কর্মসূচির বর্ণনা দেন।

যার মধ্যে রয়েছে ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’, জনগণকে আর্থিক অনুদান প্রদান, সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প, গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ প্রদান এবং সমাজ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন করার জন্য যুবকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি।

সরকার প্রধান জানান, ‘আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। দেশে কেউ গরিব থাকবে না যদি সরকারের নেওয়া কর্মসূচিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। সবাই যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য আমরা কাজ করছি। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা দেশে সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে। এর মাধ্যমে খাদ্যের নিশ্চয়তা, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জীবনমান উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য। সরকারে আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে। ’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আরও বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচন করে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা। যেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। এটি বাস্তবায়নের জন্য অনেকগুলো ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। তার মধ্যে আমার বাড়ি আমার খামার একটি ব্যবস্থা। এটি একেবারে হতদরিদ্র মানুষকে মুক্তি দেবে। সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুদ্র সঞ্চয় ব্যবস্থা হয়। আমরা সারা বাংলাদেশে সমবায়ের মাধ্যমে মানুষকে নিয়ে যৌথভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাই। মানুষের খাদ্য নিশ্চয়তা, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে মানুষের আর্থসামাজিক ও জীবনমান উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০টা ৫ মিনিটে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে মোনাজাতে অংশ নেন।

এসময় তার সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানা, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শেখ রকিব হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল-বেলি আফিফা, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাবুদ্দিন আজমসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সরঞ্জাম এবং আর্থিক অনুদান পাওয়ার সুবিধাভোগীরা তাদের নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

news24bd.tv/SC