সংবেদনশীল তথ্য চুরি করেছে উত্তর কোরিয়া, দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার

প্রতীকী ছবি

সংবেদনশীল তথ্য চুরি করেছে উত্তর কোরিয়া, দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার

অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালতের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে স্পর্শকাতর তথ্য চুরি করেছে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চুরি হওয়া ওই তথ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত বিভিন্ন নথিপত্রও। শনিবার (১১ মে) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ান হ্যাকাররা ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আদালতটির কম্পিউটার সিস্টেম থেকে ১ হাজার ১৪ গিগাবাইট (জিবি) ডেটা চুরি করে নিয়েছেন। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনজীবীদের একটি যৌথ তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে।

বার্তাসংস্থা এএফপিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, হ্যাকারদের চুরি করা তথ্যের মধ্যে অনেকের বিয়ে ও ব্যক্তিগত ঋণের রেকর্ড রয়েছে। হ্যাকিংয়ের বিষয়টি নজরে আসার আগে এসব তথ্য ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার চারটি দেশীয় ও চারটি বিদেশি সার্ভারে পাঠানো হয়েছে।

চুরি যাওয়া তথ্যগুলোর মধ্যে থেকে সিউল মাত্র ৪ দশমিক ৭ জিবি পুনরুদ্ধার ও সনাক্ত করতে পেরেছে। এসবের মধ্যে ব্যক্তিগত ঋণ পুনর্বাসন সংক্রান্ত ৫ হজার ১৭১টি নথি রয়েছে। এসব নথিতে বিয়ের সার্টিফিকেট, ঋণ ও দেউলিয়া হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিবৃতি রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে। সে কারণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য দেশটি সাইবার আক্রমণ বাড়িয়েছে।

সিউল, টোকিও এবং ওয়াশিংটনের দাবি, শুধু ২০২২ সালেই ১৭০ কোটি ডলারের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে পিয়ংইয়ং। সাইবার হামলার মাধ্যমে অর্জি অর্থের কিছু অংশ নিজেদের অস্ত্র কর্মসূচিতে কাজে লাগাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা বলেছিল, উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচররা লিংকডইন ব্যবহার করে নিজেদের নিয়োগকারী হিসেবে উপস্থাপন করছে ও প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোতে কর্মরত দক্ষিণ কোরিয়ানদের প্রলুব্ধ করছে। এর মাধ্যমে হ্যাকররা প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর কম্পিউটার ব্যবস্থায় প্রবেশ করার সুযোগ পায়।

এএফপি বলছে, ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝি উত্তর কোরিয়া তাদের সাইবার-প্রোগ্রাম শুরু করে। তারপর থেকে এটি একটি শক্তিশালী সাইবারওয়ারফেয়ার ইউনিটে পরিণত হয়েছে, যা ব্যুরো ১২১ নামে পরিচিত। ২০২০ সালের একটি মার্কিন সামরিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বেলারুশ, চীন, ভারত, মালয়েশিয়া ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ করে ব্যুরো ১২১।

news24bd.tv/DHL