রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে রুশ মালিকানাধীন জ্বালানি জায়ান্ট রোসাটম। তারা এ সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক এবং বৈশ্বিক পারমাণবিক জ্বালানি বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে মনে করে।
এক বার্তায় রোসাটম বলেছে, ‘রাশিয়া থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আমদানি নিষিদ্ধের জন্য প্রণীত মার্কিন আইনকে আমরা বৈষম্যমূলক মনে করি। আমরা এও মনে করি, এ সিদ্ধান্ত বর্তমান বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার (১৩ মে) রাশিয়ান পারমাণবিক চুল্লির জ্বালানি আমদানি নিষিদ্ধে পক্ষে করা আইনের একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। আইনটি ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে।
রোসাটম এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক শিল্পের টেকসই কার্যকারিতার জন্য ধ্বংসাত্মক’
রোসাটম আরও বলেছে, পারমাণবিক প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী তার শক্তিশালী অবস্থান বজায় রেখেছে।
ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, ২০২২ সালে রাশিয়া মার্কিন বাণিজ্যিক পারমাণবিক চুল্লিগুলোতে জ্বালানি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রায় এক চতুর্থাংশ সরবরাহ করে। ওই বছর আমেরিকায় সরবরাহকৃত জ্বালানির এটাই ছিল সর্বোচ্চ। যুক্তরাষ্ট্রে ইউরেনিয়ামের নিজস্ব মজুত থাকলেও চাহিদা মেটানোর জন্য সেগুলো যথেষ্ট নয়। আর রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কমপ্লেক্সের আয়োজক, যা বিশ্বব্যাপী ক্ষমতার প্রায় অর্ধেক।
২০২২ সাল পর্যন্ত রাশিয়া ছিল বিশ্ববাজারে সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম রপ্তানিকারক। যার আনুমানিক রপ্তানি মূল্য ২ বিলিয়ন ডলার এবং যা বিশ্বব্যাপী বিক্রয়ের প্রায় ৩৫ শতাংশ।
২০২৩ সালের অক্টোবরে হোয়াইট হাউস রাশিয়া থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আমদানির ওপর দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানায়। তারা জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। তারা এও বলে, ইউরেনিয়ামের জন্য রাশিয়ার উৎসের ওপর নির্ভরতা তাদের অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। ’
তবে ক্রেমলিন আজ মঙ্গলবার (১৫ মে) গণমাধ্যমকে বলেছে, রাশিয়ার পারমাণবিক শিল্পের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কোনো প্রভাব ফেলবে না। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, দেশের পারমাণবিক শিল্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অক্ষমতার কারণে ওয়াশিংটন রাশিয়ান ইউরেনিয়াম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার আশ্রয় নিয়েছে।
ওয়াশিংটনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভ সতর্ক করে বলেন, এই পদক্ষেপ মার্কিন অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: আরটি
news24bd.tv/আইএএম