দুবাইয়ে বিশ্বের ১০ অর্থশালীর সম্পদের পাহাড় 

দুবাই, অর্থশালীদের আরেক হোম

ওসিসিআরপির অনুসন্ধান 

দুবাইয়ে বিশ্বের ১০ অর্থশালীর সম্পদের পাহাড় 

অনলাইন ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইকেও বিভিন্ন দেশের অর্থশালী ব্যক্তিরা অনেকদিন থেকেই সেকেন্ড হোম ভাবছেন। কানাডা , মালয়েশিয়ার সাথে যুক্ত আছে দুবাইয়ের নাম। অনেক আগে থেকেই ভারতের বিলিয়নার মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহীম ৯০’র দশকে দুবাইয়ে স্থায়ী হয়েছিলেন। গড়ে তুলেছিলেন রাজপ্রাসাদের মতো অট্রালিকা।

বাইরে থেকে দর্শনার্থীরা দেখতে ভিড় করতেন। এখন রয়েছে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মতো ব্যবসায়ী বাড়ি ও সম্পদ।  
এখন দুবাইয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এরকম সুরম্য অট্রালিকা আছে অনেক। সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
এমন দশ ব্যক্তিকে নিয়ে ফোর্বস একটি বিশেষ প্রতিবেদন করেছে। এক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন সম্প্রচারমাধ্যম সংস্থার সাহায্য নিয়েছে  ফোর্বস।  
গতকাল মঙ্গলবার তা প্রকাশ করেছে। ‘দুবাই আনলকড’ নাম দেওয়া এ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর। এ প্রকল্পে অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
মুকেশ আম্বানি
ফোর্বসের প্রতিবেদনে শুরুতেই রয়েছে ভারতীয় নাগরিক মুকেশ আম্বানির নাম। তাঁর নিট সম্পদ ১১ হাজার ২০ কোটি ডলার। বাড়ি রয়েছে ৮১ কোটি ডলারের।  
আন্দ্রেই মোলচানভ
রাশিয়ার নাগরিক আন্দ্রেই মোলচানভ ও তাঁর পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘নির্মাণসামগ্রী’। এই ব্যবসা দুবাইতে একচেটিয়া তিনি করে আসছেন। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ কৃত্রিম দ্বীপে তাঁর বাড়ি রয়েছে।
সুহাইল বাহওয়ান
ওমানের নাগরিক সুহাইল বাহওয়ান ১৯০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। জুমেইরাহ বে আইল্যান্ড, মেদান ও ডাউনটাউন দুবাইয়ে তাঁর সাড়ে ৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।
বিনোদ আদানি
সাইপ্রাসের নাগরিক বিনোদ আদানি ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। তাঁর সম্পদের উৎস দেখানো হয়েছে ‘অবকাঠামো ও পণ্যদ্রব্য’। তবে ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে বিনোদ আদানিকে ভারতীয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

চ্যাংপেং ঝাও
কানাডার নাগরিক চ্যাংপেং ঝাও ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময়’। ডাউনটাউন দুবাইয়ে তাঁর ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।
নগিব সাবিরিস
মিসরের নাগরিক নগিব সাবিরিস ও তাঁর পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৩৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘টেলিকম’ খাত। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাঁদের ১ কোটি ডলারের বাড়ি রয়েছে।  

বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তাঁর পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ২৭০ কোটি ডলার । অঅয়ের উৎস বিভিন্নখাত। জেমিনাহ দ্বীপে তার ৭ কোটি ডলারের বাড়ি রয়েছে।  
ইগর মাকারভ
সাইপ্রাসের নাগরিক ইগর মাকারভ ২১০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘বিনিয়োগ’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তিনি ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক।
সকেট বর্মন
যুক্তরাজ্যের নাগরিক সকেট বর্মনের সম্পদের পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘ভোগ্যপণ্য’। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ দ্বীপে তাঁর ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।

ইভানভ
রাশিয়ার নাগরিক। তার সম্পদের পরিমাণ ২৮৬ কোটি ডলার।  আয়ের উৎস, অস্ত্র ব্যবসা। এভানে নামের অভিজাত এলাকায় ৭০ কোটি ডলারের তার বাড়ি রয়েছে।  

news24bd.tv/ডিডি