ভারতীয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম “নিউজক্লিক”-এর সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ভারত সরকারের বিরোধিতার অভিযোগে গত বছরের অক্টোবরে প্রবীর পুরকায়স্থকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
বুধবার (১৫ মে) ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, নিউজক্লিকের সম্পাদককে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা আইনের চোখে অবৈধ।
বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ জানিয়েছে, “রিমান্ড কপি দেওয়া হয়নি।
বিচারপতি মেহতা বলেছেন, “আদালতের মনে এই বিষয়ে কোনো দ্বিধা নেই যে, কিসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তা জানানো হয়নি। তাই আবেদনকারীকে মুক্তি দিতে হবে।
সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, “পঙ্কজ বনসল মামলার রায়ে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তা লিখিতভাবে অভিযুক্তকে জানাতেই হবে। ”
অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল এস ভি রাজু আদালতে জানান, “এই গ্রেপ্তারিকে অকার্যকর বলা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তো ভুল শুধরে নিতে পারে। ”
বিচারপতি গাভাই জানান, “আইনানুযায়ী কাজ করার অধিকার পুলিশের আছে। ”
মূলত, নিউইয়র্ক টাইমসের একটি তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রবীর পুরকায়স্থকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের প্রচারণার জন্য নিউজক্লিক অর্থ পেয়েছে।
এরপর ৩ অক্টোবর নিউজক্লিক সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও বেআইনি কার্যকলাপ (রোধ) আইন অনুসারে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৩০ এপ্রিল বিচারপতিরা পুরকায়স্থকে তড়িঘড়ি করে গ্রেপ্তার ও তার আইনজীবীকে না জানানোর ব্যাপারে পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিলেন।
প্রবীর পুরকায়স্থর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি বলেন, “৩ অক্টোবর প্রবীর পুরকায়স্থকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন সকাল ৬টায় তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করা হয়। তখন সরকারি আইনজীবী ও লিগ্যাল এইডের আইনজীবী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। নিউজক্লিকের সম্পাদকের আইনজীবীকে জানানো পর্যন্ত হয়নি। প্রবীর পুরকায়স্থ আপত্তি জানালে তদন্তকারী কর্মকর্তা টেলিফোনে আইনজীবীকে বিষয়টি জানান। ”
news24bd.tv/DHL