যেসময় হজ পালন করা হয়

যেসময় হজ পালন করা হয়

 আহমাদ ইজাজ

‘হজ’ অর্থ কোনো মহৎ কাজের ইচ্ছা করা। হজের নিয়তসহ ইহরাম ধারণ করে নির্দিষ্ট দিনে আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ও কাবা শরিফ তাওয়াফ করাকে হজ বলে। (ফাতাওয়া শামি : ২/৪৫৪)

‘ওমরাহ’ অর্থ পরিদর্শন করা। ওমরাহর নিয়তে ইহরাম ধারণ করে তাওয়াফ ও সায়ি করে মাথা কামিয়ে ইহরামমুক্ত হওয়াকে ওমরাহ বলে।

(ফাতহুল বারি : ৩/৫৯৭)

হজের ফজিলত

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করে এবং অশ্লীল ও গুনাহর কাজ থেকে বেঁচে থাকে, সে নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়। আর মকবুল হজের পুরস্কার জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুই নয়। ’ (বুখারি : ১৫২১)

হজের সময় ও তার নির্ধারিত স্থান

হজের নির্দিষ্ট সময়—শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজের প্রথম ১০ দিন। বিশেষত ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন।

এ পাঁচ দিনই মূলত হজ পালন করা হয়। হজের নির্ধারিত স্থান—কাবা শরিফ, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফা ও মুজদালিফা। (আসান ফিকাহ : ২/২৫১)

হজের প্রকারভেদ

১. ইফরাদ : শুধু হজের নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওই ইহরামেই হজকার্য সম্পন্ন করা।

২. তামাত্তু : শুধু ওমরাহর নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওমরাহর কাজ সমাপ্ত করে মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম থেকে মুক্ত হওয়া।
অতঃপর ওই সফরেই হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে হজকার্য সম্পাদন করা।

৩. কিরান : একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওই একই ইহরামে ওমরাহ ও হজ পালন করা। এ তিন প্রকারের মধ্যে উত্তম হলো ‘কিরান। ’ কিন্তু ইহরাম দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে নিষেধাজ্ঞাবলি সঠিকভাবে মেনে চলতে না পারার আশঙ্কা থাকলে হজে তামাত্তুই উত্তম। (ফাতাওয়া শামি : ২/৫২৯)

 

এই রকম আরও টপিক