দুধ দিয়ে গোসল করানো হলো নাবিক সাব্বিরকে

দুধ দিয়ে গোসল করানো হলো নাবিক সাব্বিরকে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি টাঙ্গাইলের নাবিক সাব্বিরের বাড়িতে আজ ঈদের আনন্দ। মুক্ত হওয়ার পর থেকেই তাকে কাছে পাওয়ার অপেক্ষা করছিল সাব্বিরের বৃদ্ধ মা-বাবা বোন বন্ধুসহ স্বজনরা। দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে ঘরে তুলে নেন নাবিক সাব্বিরকে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৫ দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল শহরের আদালত পাড়ার বোনের বাসায় উঠলেন সাব্বির।

সাব্বির জানায়, ‘যখন আমাদেরকে জলদস্যুরা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন, তখন থেকে আমরা তাদের কাছে বন্দী জীবনযাপন করতে ছিলাম। তবে জাহাজে আমারা যে যার কাজ ঠিকঠাক মতো করেছি, রোজা রেখেছি, নামাজও পড়েছি।

সাব্বির জানায়, ছাড়া পেয়ে সেই ঈদের আনন্দটাই আল্লাহ যেন দিয়েছে। আমদেরকে ফিরিয়ে আনতে সিও স্যার সহ যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

এদিকে পরিবারে সাব্বির কে পেয়ে তাদের মধ্যে ঈদের উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। সাব্বির ফিরে আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয় স্বজন বন্ধু ও প্রতিবেশিরা তাকে এক নজর দেখার জন্য বাড়িতে ভীড় জমায়।

সাব্বিরের বোন মিতু আক্তার জানান, এখন আমার ভাই ফিরে এসেছে, আমরা অনেক খুশি।

গত (১৪ এপ্রিল) ভোরে জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হন এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এরপর জাহাজটি দুবাই এর আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছে। সেখান থেকে মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরে চুনাপাথর ভর্তি করার পর চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। সব মিলিয়ে ৬৫ দিন পর মুক্ত হয়ে নাবিকরা বাংলাদেশে এসে স্বজনদরে কাছে ফিরলেন।

প্রসঙ্গত, সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে ভারত মহাসাগর থেকে জিম্মি হন বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ জন নাবিক। এদের মধ্যে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজলোর সহবতপুর ইউনয়িনরে ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে সাব্বির। টাঙ্গাইল শহরের কাগমারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পাস করে সর্বশেষ ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর