যুদ্ধ শেষে গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

সংগৃহীত ছবি

যুদ্ধ শেষে গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র গাজায় চলমান সংঘাত শেষে  ফিলিস্তিন উপত্যকাটিতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। ওয়াশিংটন ওই শান্তিরক্ষী বাহিনীতে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে উপত্যাকায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ বাহিনীতি মিসর, সংযুক্ত আবর আমিরাত ও মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ওয়াশিংটনের দাবি, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে হামাসকে ঠেকাতে এবং উপত্যাকাকে নিরাপদ করতে এমন পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের এ প্রস্তাব মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মরক্কো বিবেচনা করে দেখছে। তবে তারা এজন্য একটি শর্ত দিয়েছে।

এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে তিনটি দেশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে স্বীকৃতি চায়।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিজেদের সেনাদের যুক্ত করার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো। যদিও গাজায় কোনো এক ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনীর মোতায়েনের পক্ষে সায় দিয়েছে তারা। কারণ, সংঘাত শেষে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অবস্থানের বিকল্প কোনো বাহিনী আপাতত দেখা যাচ্ছে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছেন। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, এটি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না ইসরায়েল। আর আরব দেশগুলো পশ্চিমাদের কাছে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তবে পশ্চিমাদের মধ্যে খুব কম দেশই এই স্বীকৃতি দেওয়ার কাছাকাছি রয়েছে।

এদিকে আরব দেশগুলোকে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দিলেও এটা পরিষ্কার যে ওই বাহিনীতে কোনো মার্কিন সেনা থাকবেন না। তাই অন্যদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। বিষয়টির সঙ্গে জানাশোনা আছে এমন এক কর্মকতা বলেছেন, এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেবে ওয়াশিংটন। তবে তা বাস্তবায়নের জন্য অনেক কাজ বাকি।

news24bd.tv/DHL