নিরুদ্দেশ সংসদ সদস্য আজিমের অবস্থান জানালো ভারতীয় পুলিশ

আওয়ামী লীগের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার

নিরুদ্দেশ সংসদ সদস্য আজিমের অবস্থান জানালো ভারতীয় পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক

আওয়ামী লীগের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ভারতে চিকিৎসা করা গিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তদন্তে নেমেছিলো ভারতীয় পুলিশ। দেশটিতে পঞ্চম দফায় ভোটগ্রহণ চলছে উত্তর ২৪ পরগণার ব্যারাকপুরে। এজন্য সেখানকার পুলিশ তদন্তে গতি আনতে পারেনি।

যদিও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিজিপি অনুপম সিং তদন্তে ধীরগতির কথা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, নিখোঁজ সম্পর্কিত যে অভিযোগপত্রে সংসদ সদস্যের যে দুটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল সেই নম্বর ট্রেস করে মুজাফফরপুরে তার লোকেশন পাওয়া যায়।

এ ছাড়া যে গাড়িতে ওই সংসদ সদস্য উঠেছিলেন সেই গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসা করেও কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু জানাতে চাননি ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনও এখনই কিছু বলতে নারাজ। এক কর্মকর্তা জানান, তদন্ত এখন যে পর্যায়ে রয়েছে তা প্রকাশ্যে আনলে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।

এদিকে সংসদ সদস্য নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক গুজব ছড়িয়েছে কলকাতায়। সোমবার (২০ মে) সকালে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ক্রুজ শিপে প্রমোদ ভ্রমণে রয়েছেন আনোয়ার। বিকেলে তদন্তকারীদের একাংশের মধ্যেই তার প্রাণে বেঁচে থাকা নিয়েই ছড়িয়ে পড়ে উৎকণ্ঠা। তবে সন্ধ্যার দিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র  মন্ত্রণালয় সূত্রের দাবি মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে মধ্যেই এমপির নিখোঁজ কাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার অন্তর্গত ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে উঠেন। মূলত ডাক্তার দেখানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ওই বন্ধুর বাড়িতে যান এমপি আনোয়ারুল।  

এর ঠিক পরদিন ১৩ মে দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যা বেলায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। উল্টো দিল্লি গিয়ে সেখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করে জানান তাকে আর ফোন করতে হবে না, দরকারে তিনি ফোন করে নেবেন গোপাল বিশ্বাসকে।

এরপর থেকে আর কোনভাবেই আওয়ামী লীগের ওই সংসদ সদস্যকে ফোনে পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবে উৎকণ্ঠা ছাড়ায় তার বাংলাদেশে তার পরিবারে। পাশাপাশি গোপাল বিশ্বাসও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এরপরই একধরনের নিরুপায় হয়ে গত শনিবার (১৮ মে) বরাহনগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন গোপাল বিশ্বাস। এই অভিযোগের খবর পেয়ে বরাহনগর থানা তদন্তে নামে।

news24bd.tv/SC