পাহাড়ে বুদ্ধ পূর্ণিমার উৎসব

পাহাড়ে বুদ্ধ পূর্ণিমার উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক

বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে বুদ্ধত্ব লাভ হিসেবে উৎসব পালন করে। তাই তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে নানা উৎসবের মধ্যে দিয়ে পালন করছেন।

বুধবার সকাল ৮টায় রাঙামাটি রাজবন বিহারে ধর্মীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বুদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব।

এরপর বিহারে দিনব্যাপী চলে বৌদ্ধ মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন, বুদ্ধ পূজা, পিণ্ডদান, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান ও প্রার্থনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি।

ভক্ত ও আর পূণ্যার্থীদের পদচারণায় কানায় কানায় ভরে ওঠে রাঙামাটি রাজবন বিহার এলাকা।

এসময় দায়ক দায়িকার ও পূণ্যার্থীদের উদ্দেশে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন, রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও বৌদ্ধ ভিক্ষু প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। এসময় রাঙামাটি রাজবন বিহারের উপাসক- উপাসিকার সভাপতি গৌতম দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে রাঙামাটি রাজবন বিহার হলো বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহার। এখানে শুধু রাঙামাটির বিভিন্ন জেলার নয়, বিদেশি পূণ্যার্থীরা ছুটে আসেন ধর্মীয় টানে। যে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দর্শনার্থী আর পূণ্যার্থীর উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে যায় পুরো রাজবন বিহার এলাকা।

রাঙামাটি রাজবন বিহারের উপাসক- উপাসিকার সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে বুদ্ধত্ব লাভ হিসেবে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করছেন। এছাড়া বৌদ্ধ বিহারে বিহারে চলবে প্রদীপ প্রজ্বলন, শান্তি ও মঙ্গল শোভাযাত্রা, ধর্মীয় সভা, সমবেত প্রার্থনা,  বুদ্ধ পূজা, পিণ্ডদান, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান।

এসময় পৃথিবীর মানব জাতির শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। তখন পূণ্যার্থীদের সাধু সাধু সাধু ধ্বনিতে এক অন্যরকম শান্তি পরিবেশ সৃষ্টি হয় পাহাড় জুড়ে।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক