ফেসবুকে ব্যক্তিই হয়ে উঠছেন একজন স্বাধীন ব্রডকাস্টার 

ফেসবুক ব্যবহারকারী

ফেসবুকে ব্যক্তিই হয়ে উঠছেন একজন স্বাধীন ব্রডকাস্টার 

অনলাইন ডেস্ক

মিডিয়া ট্রায়াল শব্দটি অনেকের কাছেই পরিচিত৷ আদালতে বিচারের আগেই সংবাদমাধ্যমের বিচার৷ এখন কথা উঠছে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল নিয়ে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আগাম বিচার হয়ে যাচ্ছে কিনা প্রশ্ন উঠেছে সেটা নিয়ে৷
এভারেস্ট বিজয়ে কৃতিত্ব আছে কিনা নাকি বানিজ্য? হিলারি তেনজিং এর পর এভারেস্ট জয়ের কিছু নেই এরকম বিভিন্ন পোস্ট নজরে পড়বে।  
এখন মোবাইল ফোন থেকেই ছবি বা ভিডিও করে সরাসরি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা যায়৷ আপ করা যায় টেক্সট৷ আর এই সুবিধার কারণে ব্যক্তিই হয়ে উঠছেন একজন স্বাধীন ব্রডকাস্টার৷

ডয়েচে ভেলের রিপোর্ট অনুযায়ী,  বরগুনার আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির কথাই ধরুন৷ তার স্বামী হত্যার ঘটনাটি নিয়ে এত আলোচনা ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার কারণেই৷ আবার এখন মিন্নিকে তার ‘স্বামী হত্যায় দায়ী করে' সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই যেন বিচার করা হচ্ছে৷ আর প্রিয়া সাহার বক্তব্যের জন্য শুধু তাকেই নয়, তার স্বামী এবং পরিবারের সদ্যদেরও ‘বিচার' করে ফেলেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর বড় একটি অংশ৷
তবে সোশ্যাল মিডিয়া এ্যাক্টিভিস্ট আরিফ জেবতিক মনে করেন,‘‘এটাকে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল বলা যাবেনা৷ কারণ এর মাধ্যমে আসলে বিচার হচ্ছে না৷ চূড়ান্ত বিচারে সোশ্যাল মিডিয়ার চাপ ভূমিকাও রাখেনা৷ এর মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ পড়ে প্রশাসনের ওপর চাপ পড়ে নজর দেয়ার জন্য৷'' তিনি মিন্নির ঘটনাকে এক্ষেত্রে একটি ক্ল্যাসিক উদাহরণ বলে মনে করেন৷ তার মতে,‘‘মিন্নির পক্ষে সামাজিক মাধ্যমের প্রবল চাপ থাকলেও পুলিশ কিন্তু তাকে আটক করেছে৷ সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল হলে কিন্তু তাকে আটক করার কথা নয়৷''
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা জাজমেন্টাল হন কখনো কখনো৷ এমনকি ভুল অথবা মিথ্যা তথ্য দিয়েও প্রচার প্রোপাগান্ডা চালানো হয়৷ কাউকে লেভেল করে দেয়ার অভিযোগও আছে৷ ইউনিভর্সিটি অব লিবারেল আর্টস-এর মিডিয়া স্ট্যাডিজ ও জার্নালিজম বিভাগের অধ্যাপক সুমন রহমান বলেন,‘‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কখনো আমাদের সঠিক বার্তা দেয়৷ আবার কখনো জাজমেন্টাল৷ প্রযুক্তির বিকাশের কারণে আমি এখন এই মিডিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ কারণ এটা  ব্যক্তির অধিকার ও গোপনীয়তার ওপর আঘাত করছে৷''

news24bd.tv/ডিডি