ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় আজ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় আজ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় আজ

অনলাইন ডেস্ক

গাজার রাফায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের বিষয়ে আজ শুক্রবার (২৪ মে) রায় দেবে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে)। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আইসিজে একথা জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলের অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের কাছে জরুরি ব্যবস্থা চেয়ে গত সপ্তাহে এই আবেদন করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক এই আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেছিল।

সেই মামলার অংশ হিসেবেই পরে রাফায় অভিযান বন্ধে এই জরুরি ব্যবস্থা চেয়েছে দেশটি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

আহত ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এ গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে।

এর আগে গত শুক্রবার ( ১৭ মে) নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আদালতের কার্যালয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা মিথ্যা অভিযোগ করেছে বলে দাবি করে ইসরায়েল।

শুনানিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ইসরায়েল জানায়, নিজেদের রক্ষায় ফিলিস্তিনের গাজায় সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার এ ধরনের আবেদন জাতিসংঘের জাতিগত নিধন সনদের সঙ্গে ‘ঠাট্টা’। তাই আবেদন নাকচ করে দেওয়ার দাবি জানান ইসরায়েলের আইনজীবীরা।

ইসরায়েল আরও বলে, এটি বাস্তবতা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন একটি আবেদন। রাফায় বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি অবস্থান করছে। ইসরায়েল বিষয়টি ভালোভাবে জানে। কিন্তু হামাস এসব মানুষের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা সেখানে আস্তানা গেড়েছে, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। হামাসের ‘সন্ত্রাসীদের’ নির্মূলে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি করে ইসরায়েল।

এদিকে ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরেও ছড়িয়ে পড়তে থাকে সহিংসতা। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, গত ৭ মাসে মোট ৮০০টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরে। এসব সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ।

news24bd.tv/aa